এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রুজিরা ইডি দপ্তরে যেতেই নাটক শুরু! হালে পানি পাচ্ছেন না মন্ত্রী, কটাক্ষ বিজেপির!

রুজিরা ইডি দপ্তরে যেতেই নাটক শুরু! হালে পানি পাচ্ছেন না মন্ত্রী, কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তদন্তের মুখোমুখি হতে এত কিসের ভয় বাংলার যুবরাজের? তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই বিরোধীদের। যখনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পরিবারের কাউকে ডাকা হয়েছে, তখনই তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা ময়দানে নেমে পড়েছিলেন। তাদের মুখ থেকে একটাই কথা শোনা যাচ্ছিল যে, কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ করছে। কিন্তু যখন সিবিআই বারবার তাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিচ্ছে, বিজেপি বিধায়কের বাড়িতেও তাদের টিম পৌঁছে যাচ্ছে, তখন অন্তত তৃণমূল এই অভিযোগ করা বন্ধ করবে, এমনটাই আশা করা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহধর্মিনী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি দপ্তরে যেতেই নাটক শুরু করে দিলেন তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীরা। ফের তাদের মুখ থেকে শোনা গেল, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি এই এজেন্সিকে লাগিয়ে প্রতিহিংসা আচরণ করছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশেই তো তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে কেন আবার এই নাটকের মঞ্চে নেমে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার হেভিওয়েট সদস্যা! তা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকেই সকল মিডিয়ার নজর ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহধর্মিনী রুজিরা বন্দোপাধ্যায় ইডি দপ্তরে আসেন কিনা, সেই দিকে। অবশেষে তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে পৌঁছে গিয়েছেন। বর্তমানে তাকে জেরা করা হচ্ছে। আর সেই বিষয় নিয়েই তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া জানতে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাজাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। অনেকে মনে করেছিলেন, এবার হয়তো আর প্রতিহিংসার সেই বস্তা পচা ডায়লগ মন্ত্রীর মুখ থেকে শোনা যাবে না। এবার হয়তো তারা তদন্তে সহযোগিতা করার কথা বলবেন। অথবা এমনটা বলবেন যে, আইন নাইনের পথে চলবে, এরকম কিছু একটা। কিন্তু না। সেই একই পথে হেঁটে আবারও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্যই এই সমস্ত কিছু করা হচ্ছে বলে দাবি করলেন শশী পাঁজা।

আর মন্ত্রীর মুখ থেকে এই কথা শুনে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের দাবি, এত কিছুর পরেও কেন লজ্জা হচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতা নেত্রীদের? তারা তো খুব ভালো করে জানেন যে, আদালতের নির্দেশেই এই তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর কেন্দ্রীয় সংস্থা যদি বিজেপির কথামতই চলত, তাহলে এতদিন তৃনমূলের অনেক নেতা জেলে থাকতেন। কিছুদিন আগে তো বিজেপি বিধায়কের বাড়িতেও তল্লাশি করতে গিয়েছে সিবিআই। তারপরেও মন্ত্রী এই সমস্ত কথা বলে আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বর্তমান টিম তৃণমূলের কাছে ভালো হওয়ার চেষ্টা করছেন। কারণ তা না হলে তিনি হালে পানি পাবেন না। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহধর্মিনী যখন ইডির দপ্তরে গেলেন, তখন প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে যুবরাজের কাছে ভালো হওয়ার চেষ্টা করছেন এই মন্ত্রী বলেই কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলে ধীরে ধীরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বেসর্বা হয়ে উঠছেন। তাই যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিমের সদস্য, তারাও এখন ভাইপোকে খুশি রাখার জন্য মরিয়া।‌ তাই মন্ত্রীর মুখ থেকে এত বড় বড় কথা শোনা গেল। তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন যে, তিনি যুবরাজ অন্তপ্রাণ। তাকে যেন পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া না হয়। সেই কারণেই তিনি নিজের আনুগত্য প্রকাশের জন্যই প্রতিহিংসার অভিযোগ এনে ভাইপোর কাছে ভালো হওয়ার চেষ্টা করলেন বলেই কটাক্ষ একাংশের। কিন্তু মন্ত্রী মহোদয়ার জেনে রাখা উচিত, যদি কেউ কোনো দোষ না করে, তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কাউকে গ্রেপ্তার করবে না বা কারও বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেবে না। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!