এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেকের নথি তো পেল ইডি, কিন্তু কড়া পদক্ষেপ কবে? আশায় দিন গুনছে বিজেপি!

অভিষেকের নথি তো পেল ইডি, কিন্তু কড়া পদক্ষেপ কবে? আশায় দিন গুনছে বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-শেষ পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করেছিলেন, যাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে তার নথি না জমা করতে হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। আদালতের নির্দেশে সেই নথি জমা করতে হলো বাংলার যুবরাজকে। তিনি রক্ষা পেলেন না। অন্তত তেমনটাই বলছে বিরোধীরা। তবে এই নথি দেখে এবার কি কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার মতো ক্ষমতা দেখাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? যত সময় যাচ্ছে, ততই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ঢিলেঢালা মনোভাব আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ছে। তবে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নথি জমা হওয়ার পর আশায় দিন গুণতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পর সেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হলে বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নথি জমা করা নিয়ে দিলীপবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “নথি সন্ধের পর গিয়ে জমা করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এবার আইন আইনের পথে চলবে। এবার সেই নথি দেখে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” বলা বাহুল্য, প্রথমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিপস্ অ্যান্ড বাউন্সের সিইও হিসেবে এই নথি জমা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান বাংলার যুবরাজ। শেষ পর্যন্ত সেখানেও বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, 10 তারিখ রাত বারোটার মধ্যেই নথি জমা দিতে হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদি তা না করা হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। শেষ পর্যন্ত তিনি সেই নথি জমা দেন কিনা, সন্ধের পর থেকে সেদিকেই নজর ছিল সকলের। অবশেষে তিনি তার নথি জমা করেছেন। আর এর পর থেকেই কার্যত নানা মহলের একটাই প্রশ্ন, এবার কি সেই নথির ভিত্তিতে আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা? নাকি নথি দেখতে দেখতে দেখতেই সময় কাটিয়ে দেবেন ইডি আধিকারিকরা?

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা নিয়ে বড় দাবি চলছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এবার আর সময় নষ্ট করা যাবে না। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে যাই হোক না কেন, একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই হবে। সাধারণ মানুষ অনেক বিশ্বাস এবং ভরসা নিয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। যদি কিছু থাকে তাহলে অবিলম্বে সেই নথি দেখে রাঘববোয়ালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তা না হলে এই ডাকাডাকি, তল্লাশি, নথি তলব এই নাটক বন্ধ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়ে দিক যে, তারা এই তদন্ত করতে ব্যর্থ। কিন্তু মানুষ যেহেতু সুবিচার চাইছেন, তাই অবিলম্বে করা পদক্ষেপ গ্রহণ করুক ইডি, সিবিআই বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আদালতে ইতিমধ্যেই এই তদন্ত নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, তাদের ঢিলেঢালা মনোভাব কোনো পক্ষই সহ্য করতে পারছেন না। যদিও বা শাসক পক্ষের নেতারা এতে আনন্দিত। কারণ তারা চাইছেন, তদন্ত প্রক্রিয়া যাতে পিছিয়ে যায়। তারা চাইছেন, যেভাবেই হোক, তদন্তকারী সংস্থা যেন সক্রিয় না হয়। এতে অবশ্য তাদের অনেকের লাভ। কটাক্ষ করে তেমনই বলছে বিরোধীরা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে নথি পেয়ে যাওয়ার পর আর একমুহূর্ত সময় নষ্ট না করে এবার ফাইনাল টাচ দেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। যারা নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!