এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এতই ক্ষমতার লোভ মমতার? পরিবারবাদে সর্বনাশের মুখে রাজ্য! শুভেন্দুর বানে জর্জরিত তৃণমূল!

এতই ক্ষমতার লোভ মমতার? পরিবারবাদে সর্বনাশের মুখে রাজ্য! শুভেন্দুর বানে জর্জরিত তৃণমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পিসি এবং ভাইপো মিলে গোটা তৃণমূল দলটাকে শেষ করে দিয়েছেন। তৃণমূল দলে তারাই শেষ কথা বলবে, বাকি কারও মতামতের কোনো প্রাধান্য নেই বারবার এই অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী একাধিকবার অভিযোগ করেছেন পরিবারবাদকে রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই অভিযোগ কেউ মেনেছে। কেউ তার বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। তবে ক্রীড়া ক্ষেত্র নিয়েও ভয়ংকর তথ্য উঠে আসলো এই সরকারের বিরুদ্ধে। নিজের পরিবারের সদস্যদের ক্রীড়াক্ষেত্রের সব জায়গায় বসিয়ে তাকেও ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আজ সেই তথ্য ফাঁস করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, এদিন একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই ক্রীড়া ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের একের পর এক সদস্যরা যেভাবে তাদের মাথায় বসে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এই সরকার এবং এই রাজ্যের শাসক দল কোনো জায়গাতেই ফাঁক রাখতে নারাজ। সব জায়গায় যারা নামিদামি মানুষ, তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে নিজের পরিবারের লোকেদের মাথায় বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ক্রীড়া ক্ষেত্রেও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তার পরিবারের লোকেদের বসিয়ে দিয়েছেন। কোথাও বাবুন ব্যানার্জি, কোথাও কার্তিক ব্যানার্জি। সব জায়গায় তার পরিবারের সদস্যদের মাথায় বসিয়ে দিয়েছেন।” একাংশ বলছেন, ক্ষমতা ভোগ করতে করতে যে জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তাতে এই রাজ্যটার সর্বনাশ হতে যাচ্ছে। অভিজ্ঞ লোকেদের অভিজ্ঞ জায়গায় বসাতে হয়। কিন্তু সেই জায়গায় নিজের পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন দায়িত্ব দিয়ে সমস্ত ক্ষেত্রকে সর্বনাশের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেই দাবি বিরোধীদের।

বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, সব জায়গায় নিজেদের পরিবারের লোকেদের বসাতে। কারণ তিনি নিজের দলের অন্যান্য নেতাদেরও বিশ্বাস করেন না। তার একটাই টার্গেট, নিজের পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করা। সেজন্য পিসি-ভাইপো মিলে যেমন দলের সব সিদ্ধান্ত নেন, ঠিক তেমনই সরকারি জায়গায় বেছে বেছে নিজের ভাই-ভাইপোদের বসিয়ে খেলা ধূলোতেও মাতব্বরি শুরু করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী এদিন যে তথ্য তুলে ধরেছেন, তা অতি বাস্তব। যদি বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকে, তাহলে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যে অভিজ্ঞ, তাদের হাতে সেই দায়িত্ব ছেড়ে দিন। তাতে তাকে যেমন সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানাবেন, ঠিক তেমনই সেই ক্ষেত্রহ সেই ব্যবস্থার উন্নতি হবে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই পরিবারবাদের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে অনেক তৃণমূল নেতা দল ছেড়েছেন। ভবিষ্যতে এই দলটার কি অবস্থা হবে, তা কেউ জানে না। কিন্তু এবার ক্রীড়াক্ষেত্রেও বিভিন্ন জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে নিজের ভাইদের বসাচ্ছেন, তাতে উস্মা প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতাও। আর কত পরিবারের লোকেদের মাথায় বসাবেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী? যদি তারা অভিজ্ঞ হতেন, অবশ্যই তাদের নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকত না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তো বুঝিয়ে দিলেন যে, তারা অনভিজ্ঞ। শুধুমাত্র নিজের পরিবারকে ক্ষমতা পাইয়ে দেওয়ার জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের দায়িত্ব বন্টনের পালা শুরু করেছেন বলেই দাবি একাংশের। তবে এসব রাজ্যকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আগামী দিন এই সমস্ত ক্রিড়া ক্ষেত্রের ব্যবস্থায় যেখানে পরিবারবাদ মাথাচাড়া দিয়ে বসবে, সেখানে বড় অশনি সংকেত অপেক্ষা করছে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!