এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার সততার মুখোশ খুলে গেল? পাহাড়ে গিয়েই চরম সমস্যা! চেপে ধরলেন শুভেন্দু!

মমতার সততার মুখোশ খুলে গেল? পাহাড়ে গিয়েই চরম সমস্যা! চেপে ধরলেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখে অনেক বড় বড় কথা বলেন। তিনি নাকি সততার প্রতীক, তিনি নাকি এক পয়সাও বেতন সরকারের থেকে নেন না, এরকম অনেক কথা তার মুখে শোনা যায়। কিন্তু বাস্তবটা যে সম্পূর্ণ উল্টো। সরকার থেকে যতটা সুযোগ সুবিধা তিনি তার পরিবারকে দিয়েছেন, অতীতে কোনো মুখ্যমন্ত্রী এই কাজ করেছেন কিনা এবং তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে কিনা, এটা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী এদিন যে কথা বললেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই বলছে সমালোচক মহল। তারা এটাও বলছেন যে, যিনি সরকার থেকে একটাও সুযোগ-সুবিধা নেন না বলে দাবি করেন, তার এক পরিবারের সদস্যের বিয়েতে কেন সরকারি গাড়ি ব্যবহার করা হবে? যিনি নিজেকে সততার প্রতীক বলে দাবি করছেন, তার বিরুদ্ধে কেন এত বড় মারাত্মক অভিযোগ তোলার মত ক্ষমতা হবে বিরোধী নেতার! তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী এমন কোনো কাজ করে ফেলেছেন, যার জন্য তাকে এই সমস্ত কথা শুভেন্দু অধিকারীর কাছ থেকে শুনতে হচ্ছে! কিন্তু এদিন কি এমন তথ্য ফাঁস করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

প্রসঙ্গত, বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যাওয়ার আগে তিনি এটাও বলেছেন যে, তার পরিবারের এক সদস্যের বিয়ে রয়েছে। পাহাড়ি মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু তিনি সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকবেন না। তিনি অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকবেন। তবে তারা তার আশীর্বাদ নিতে আসবেন। আর আশ্চর্যজনকভাবে সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে কিভাবে সরকারি ক্ষমতাকে অপব্যবহার করা হচ্ছে, তার তথ্য এদিন ফাঁস করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট ভাষায় দাবি করেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যের বিয়েতে নীল বাতির গাড়ি দেখা গিয়েছে। তিনি নাকি সততার প্রতীক! কিন্তু তার পরিবারকে যেভাবে সুযোগ দিচ্ছেন, তাতে আমরা চুপচাপ এগুলো দেখে বসে থাকবো না।” আর এখানেই রাজ্যের মানুষের প্রশ্ন যে, শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বলছেন, তা কতটা সত্যি? যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে মুখ্যমন্ত্রী এই কথাকে খন্ডন করুন! নিজের গায়ে তো একটা কালি ছিটলে তিনি বিরোধীদের আক্রমণ করতে ছাড়েন না! তাহলে এত বড় মারাত্মক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে তোলার পরে কেন এখনও তিনি নীরবতা পালন করছেন?

বিজেপির দাবি, ক্ষমতা থাকলে তো মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলবেন! তিনি সরকারি ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে নিজের পরিবারকে যেভাবে সুবিধে পাইয়ে দিচ্ছেন, তা অতীতে কেউ করেনি। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য পরিবার বাদ এবং তোষণবাদের ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি এই বাংলায় তৈরি হয়েছে। যতক্ষণ না এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় দেওয়া যাচ্ছে, ততক্ষন রাজ্যের মানুষ পরিত্রাণ পাবে না। অবিলম্বে এই সরকারকে উৎখাত করতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী ভেবেছিলেন, নিজের পরিবারের সদস্যের বিয়েতে তিনি এমন করে যাবেন, যাতে কেউ ধরতে পারবে না। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নাম শুভেন্দু অধিকারী। তার কাছে সব খবর পৌঁছে যায়। তাই পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী পা রাখতেই কিভাবে সরকারি ক্ষমতাকে তার পরিবারের সদস্যের বিবাহ অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়েছে, সেই তথ্য পর্যন্ত ফাঁস করে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখেই সততার কথা বলেন। কিন্তু কার্যকলাপে তিনি সম্পূর্ণ উল্টো। স্বভাবতই পাহাড়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অনেক নাটক করার চেষ্টা এখন করছেন ঠিকই। কিন্তু তার ভাওতাবাজির মুখোশটা একেবারে সামনে চলে এলো। পরিবারবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে চরম সমস্যার মুখে পড়ে গেলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!