এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > 15 টি গেস্ট হাউস মমতার? সর্বস্বান্ত জনতা, হাঁটে হাড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু!

15 টি গেস্ট হাউস মমতার? সর্বস্বান্ত জনতা, হাঁটে হাড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বাইরে এতটা সততার মুখোশ দেখিয়ে এতটা নাটক পশ্চিমবঙ্গ কেন, ভারতবর্ষের বুকেও কোনো রাজনীতিবিদ করেছেন কিনা, তা মনে পড়ে না। যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন। চূড়ান্ত নাটকের মধ্যে দিয়ে তিনি একটা জিনিস বারবার মানুষের সামনে তুলে ধরছেন যে, তার মত গরিব মুখ্যমন্ত্রী আর কেউ নেই। তিনি মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ। হয়ত একসময় সেটাই ছিলেন। কিন্তু এখন সেই সমস্ত কিছুকে মিথ্যা প্রমাণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল মুখ আর মুখোশটা আলাদা হয়ে যাচ্ছে। একের পর এক যে তথ্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দিচ্ছেন, তাতে এমনই অভিযোগ করছে বিরোধী দলগুলো। যখন পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখনই বিধানসভায় বসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঠিক কতগুলো গেস্ট হাউস এই ১২ বছরে মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় করে নিয়েছেন, সেই তথ্য ফাঁস করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি স্পষ্ট ভাষায় অভিযোগ করেন যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানুষের টাকা লুট করে এই 12 বছরে তিনি 15 টা গেস্ট হাউস করেছেন। এমনকি উত্তরবঙ্গে কোথায় কোথায় তার গেস্ট হাউস রয়েছে, সেটাও তিনি নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরেন। আর বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যের পরেই সাধারণ মানুষের মধ্যেও প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে এই নাটকটা কেন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! কিসের দরকার তার এই নাটক করার? সরকারের এক পয়সা বেতন নেন না বলে যে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, তার এতগুলো গেস্ট হাউস এল কোথা থেকে? কোন ক্ষমতাকে প্রয়োগ করে তিনি এই প্রবল সম্পত্তির অধিকারী হলেন! শুভেন্দু অধিকারী যে প্রশ্ন তুলেছেন, তারপর এমনই সব প্রশ্নবানন দিয়ে সরকারকে চাপে ফেলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, নিজের সুখ এবং সমৃদ্ধি ছাড়া আর কিছুই বোঝেন না এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। গরিবী বুলি আওড়ে তিনি রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাতে চান। সততার প্রতীকের মুখোশ আজ খুলে গিয়েছে। সামান্য লজ্জা থাকলে “বেতন নেন না” এই ধরনের নাটক আর করার সাহস পাবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মানুষের কাছে ভালো সাজতে তিনি এই ধরনের মুখোশ পরেই মিথ্যার বেসাতি করে যাবেন। তবে যত দিন যাচ্ছে, ততই তার আসল পর্দাটা সামনে চলে আসছে। মানুষকে বোকা বানানোর দিন শেষ হয়ে এসেছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তো সামান্য খুঁত পেলে তাকে হেনস্থা করতে ছাড়ে না এই রাজ্যের সরকার। বিভিন্ন দিক দিয়ে তাকে পুলিশী জালে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু বারবার আদালতে গিয়ে থাপ্পর খেয়েছে এই রাজ্য। তবে এবার তো রাজ্য সরকারের কাছে বড় সুযোগ রয়েছে। যদি সত্যিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটিও সুবিধা সরকারের কাছ থেকে না নেন, তাহলে শুভেন্দু অধিকারী যে অভিযোগ করছে, তাকে মিথ্যা বলে প্রমাণ করুন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতার অভিযোগকে নস্যাৎ করে তিনি আইনের দ্বারস্থ হন। তাহলেই বোঝা যাবে যে, সত্যিই তিনি সততার প্রতীক! আর তা না হলে গরিব এবং জনদরদী ভাবমূর্তির নাটক করা মুখ্যমন্ত্রীর ভাঁওতা বাজি রাজ্যের মানুষের কাছে আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!