এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > রাহুলের নতুন নাটক শুরু! ন্যায়যাত্রার আগেই বড়সড় ধাক্কা, তুলোধোনা সুকান্তর!

রাহুলের নতুন নাটক শুরু! ন্যায়যাত্রার আগেই বড়সড় ধাক্কা, তুলোধোনা সুকান্তর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দেশে বিজেপি বিরোধী যে সমস্ত দলগুলো রয়েছে, তারা সব এক ছাতার তলায় এসে বিজেপিকে হারানোর চেষ্টা করছে। সেই মত তৈরি হয়েছে ইন্ডি জোট। কিন্তু সেই জোটের মধ্যেও এখন কে মুখ হবে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে দড়ি টানাটানি। তাই এখন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী আজ আবার ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু করছেন। আজ থেকে তিনি রাস্তায় নামবেন। অনেকে বলছেন, এসব নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়। পাপ্পু বলে পরিচিত গান্ধী পরিবারের এই সদস্যের কর্মসূচি নিয়ে অন্তত বিজেপি বিচলিত হচ্ছে না।তবে কংগ্রেস খুব বেশি মাতামাতি করছে তাদের নেতার এই কর্মসূচি নিয়ে। বিজেপিকে তো বটেই, তাদের যে বিরোধী জোট রয়েছে, সেখানেও যে সমস্ত নেতা-নেত্রীরা রয়েছেন, তাদেরকেও বোঝানোর চেষ্টা করছে যে, তাদের নেতা কত বড় কান্ড কারখানা করছেন! ভাবখানা এমন, যেন দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। আর এই পরিস্থিতিতে এবার ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার এই কর্মসূচি নিয়ে এমন এক মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, যার ফলে প্রবল চাপে পড়ে গেল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ধীরে ধীরে মানুষের কাছে এটা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে যে, সামনে ভোট। তাই এখন মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে এক নতুন নাটক শুরু করছেন রাহুল গান্ধী।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এসব নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। রাহুল গান্ধী মাঝেমধ্যেই এসব করেন। আমরাও সেসব দেখে মজা পাই। আপনারাও মিডিয়ার লোকেরা একটু খোরাক পান। তবে এসব নিয়ে আমরা বিচলিত নই। উনি এন্টারটেইনমেন্ট করছেন।” অনেকে বলছেন, কোথায় ছিল রাহুল গান্ধীর মানুষের পাশে থাকার এই কর্মসূচি? এতদিন তো তিনি চুপচাপ ঘরে বসে ছিলেন। শুধুমাত্র বিজেপির বিরুদ্ধে দুই চারটা কথা বলে মাঝেমধ্যেই আসর জমানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু যেই লোকসভা নির্বাচন সামনে চলে এলো, ঠিক তখনই আবার তার ভারত জোড়ো যাত্রার কথা মনে পড়লো। তাহলে মানুষের পাশে সারা বছর না থেকে শুধুমাত্র নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে চমক দিয়ে এই সমস্ত কর্মসূচি করে আদৌ কোনো লাভ হয় কি? এমনিতেই তো তার নেতৃত্ব নিয়ে দেশের মানুষের মনে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। ফলে হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসে তিনি যদি নেতা হওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে ভুল করবেন। তার এই সমস্ত কর্মসূচি নিয়ে দেশের মানুষ ভাবিত নয়। এমনিতেই ঠান্ডা পড়েছে। মানুষ পিকনিকের মুডে রয়েছে। তারা এই হঠকারি রাজনীতির কচকচানির মধ্যে থাকতে চায় না বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, দেশের মানুষ প্রস্তুত হয়ে রয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী করার জন্য। তাই পাপ্পুর এই সমস্ত কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ ভাবিত নয়। রাজনীতি করতে হয় সারা বছর। কিন্তু হঠাৎ করে ভোটের আগে নেতা হওয়ার চেষ্টা করলে মানুষ তাকে ঠিক জবাব দেন। তাই জোট গঠন করার পর এবার ভারত যাত্রা করে কোনো সুবিধা করতে পারবেন না রাহুল গান্ধী এবং তার দল। আগামী দিনে বিজেপি আবার প্রচুর আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতা এসেছিল, তার প্রায় সবকটাই তারা পূরণ করে ফেলেছে। আগামী 22 জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে তাদের প্রতিশ্রুতির বৃত্ত সম্পূর্ণ হতে চলেছে। ফলে দেশের মানুষ এই ব্যাপারে একমত যে, বিজেপিকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই যে কোনো দল এবং নেতা এই দেশে তাদের কর্মসূচি করতেই পারে। কারণ গোটা দেশটা তো আর পশ্চিমবঙ্গ হয়ে যায়নি যে, কর্মসূচি করতে গেলেই তাদের পুলিশ দিয়ে বাধা দেওয়া হবে। অন্তত নরেন্দ্র মোদীর সরকার, কেন্দ্রের সরকার সেই কাজে বিশ্বাস করে না। তারা গণতন্ত্রটাকে অক্ষত রেখেছে। তাই রাহুল গান্ধী এখন ভারত জোড়ো যাত্রা করতে ময়দানে নেমে পড়ছেন। কিন্তু এতে লাভের লাভ কিছুই হবে না। খবরের শিরোনামে হয়ত তিনি থাকতে পারেন, এসব নিয়ে হয়ত সন্ধ্যায় টিভির পর্দায় চর্চা হতে পারে। কিন্তু ভোটব্যাংকে তেমন কোনো পার্থক্য দেখতে পাবে না কংগ্রেস দল এবং তাদের তৈরি বিরোধী জোট। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!