এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুধুই বড় বড় ভাষন, কেউ মানে না মমতাকে! মোক্ষম জবাব বিজেপির!

শুধুই বড় বড় ভাষন, কেউ মানে না মমতাকে! মোক্ষম জবাব বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোনো নিয়মের তোয়াক্কাই করেন না। রাজ্যে আইনের শাসন তো কবেই উঠে গিয়েছে। এখন তিনি চেষ্টা করছেন, গনতন্ত্রকে ধুলুণ্ঠিত করে লোকসভায় বাজিমাত করার। কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর এক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন তিনি। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। আর এবার “এক দেশ এক ভোট” নিয়ে যখন আপত্তি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন তাকেই মানুষ আগামী দিনে মানবে কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ একেবারে মোক্ষম জবাব দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে চরম চাপে পড়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এতদিন বাংলার ভোটে মানুষকে ভোট দিতে না দিয়ে, প্রশাসনের অপব্যবহার করে সব দখল করেছে তৃণমূল। কিন্তু লোকসভায় থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাই তাদের বেষ্টনীতে ভোট হলে এবং মানুষ তাতে অংশ গ্রহণ করতে পারলে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই রায় যাবে।তাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কি মানলেন আর কি মানলেন না, তাতে কেউ গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন “এক দেশ এক ভোট” নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে এই বিজেপি নেতা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অনেক কিছুই মানেননি। উনি জিএসটি মানেননি, হয়ে গিয়েছে। নোটবন্দী মানেননি, হয়ে গিয়েছে। রামমন্দির মানেননি, হয়ে গিয়েছে। ফলে ওনার আপত্তিতে কিছু যায় আসে না। এখন আগামী নির্বাচনে ওনাকে কেউ মানবে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।” অনেকে বলছেন, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাকে শুধুই পিছিয়ে দিয়েছেন। বেকার সমস্যা, শিল্পের অভাবে জরাজীর্ণ এই রাজ্য। আর সেই জায়গায় দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন জ্বালা সহ্য করতে না পেরে বিরোধীতা করাই একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু এসব করতে গিয়ে তিনি যে বাংলার মানুষের চক্ষুশূল হয়ে উঠছেন, এটা হয়ত বুঝতেই পারছেন না। তাই দেশের অগ্রগতির বিরোধীতার ফল খুব দ্রুত পাবে আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় নেত্রী বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, বাংলাকে শেষ করে দিয়েছে তৃণমূল। এবার এদের পতন অবশ্যম্ভাবী। সব ব্যাপারে বিরোধীতা করাই অভ্যাস হয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে এসব করে তিনি যদি ভাবেন, দেশের ক্ষমতা দখল করবেন, তাহলে ভুল ভাবছেন। বাংলাতেই এবার তোলামূল পার্টির জামানত জব্দ হয়ে যাবে। দুর্নীতি এবং পিসি-ভাইপোর স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে রায় দেবে বাংলার মানুষ বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সব ব্যাপারে বিজেপির বিরোধিতা করতে গিয়ে নিজেই নিজের জালে ফেঁসে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। বাংলার মানুষ ধরে ফেলেছে তার বুজরুকি। আসলে সবসময় ভোটব্যাংকের রাজনীতি করেই বাজিমাত করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার তার পর্দাফাঁস হয়ে গেল। একসাথে সব ভোট হলে কত অর্থ বেঁচে যায়, কত সময় বেঁচে যায়। দেশের সিংহভাগ মানুষও চাইছে যে, এই এক দেশ এক ভোট লাগু হোক। কিন্তু এখনও সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগেই অযাচিত বিরোধীতা শুরু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। তবে তার এই আপত্তিতে কিছুই যায় আসে না। তাকেই লোকে মানছে না, আর তিনি বড় বড় কথা বলে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। তবে এই সবকথায় বিরোধীতার ফল কি হয়, তার চরম পরিনতি দেখার জন্য লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তোলামূলকে। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!