এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চরম লজ্জা, বিহার পারলেও পারে না বাংলা! মমতাকে ধুয়ে দিচ্ছে বিজেপি!

চরম লজ্জা, বিহার পারলেও পারে না বাংলা! মমতাকে ধুয়ে দিচ্ছে বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বড় বড় গলায় অনেক কথা বলেন। তার মতে, তার বাংলা নাকি এগিয়ে বাংলা! বাংলায় যা কাজ হয়েছে, তা নাকি 100 বছরেও কেউ করতে পারবে না। কিন্তু যে বিহার রাজ্যকে এতদিন সবাই খাটো চোখে দেখত, সেই বিহারে প্রায় 1 লক্ষ 20 হাজার অস্থায়ী শিক্ষককে নিয়োগ করলো সেখানকার সরকার‌। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা দিনের পর দিন রাস্তায় বসে রয়েছেন। ফলে বিহারের মতো রাজ্যকে দেখেও যদি বাংলা শিখতে না পারে, তাহলে এই বাংলা কতটা এগিয়েছে, তা বোঝাই যাচ্ছে। যেভাবে পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এই সরকার, তাতে বিহারের এই শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি দেখে রীতিমত তৃণমূলকে ধুয়ে দিচ্ছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই ঘটনায় অন্তত লজ্জা পাওয়া উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের। কিন্তু লজ্জার মাথা খেয়ে যেভাবে নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা জড়িয়ে পড়ছেন, তাতে এদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা বৃথা বলেই দাবি করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন বিহার সরকারের পক্ষ থেকে 1 লক্ষ 20 হাজার অস্থায়ী শিক্ষককে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আর তারপরেই তেজস্বী যাদব জানিয়ে দেন, এরপরেই আরও 90 হাজার শিক্ষকের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু যখন বিহার সরকারি এই সিদ্ধান্ত নিতে পারছে, তখন বাংলার সরকার কেন পারছে না, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে হতাশার আবহ। এমনিতেই তো তারা দীর্ঘদিন ধরে সংসার ছেড়ে রাস্তায় বসে থাকছেন। তার মধ্যে বিহার সরকারের এই উদ্যোগ দেখে তারা মনে করছেন যে, এভাবেই সংস্কৃতির বাংলাকে শেষ করে দিয়েছে এই তৃণমূল সরকার।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, লজ্জা থাকা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের। বেকার শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীদের মেধাকে এই রাজ্য ধ্বংস করে দিয়েছে। সব জায়গায় টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। এতদিন মনে করা হত, বিহার সবথেকে উন্নয়নের দিক থেকে শেষে রয়েছে। কিন্তু যেভাবে এই নিয়োগের দিক থেকেও বাংলাকে ছাপিয়ে গেল বিহার, তাতে এই লজ্জা আর কোথায় রাখবে বাঙালি? ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। অবিলম্বে বিহারের দেখানো পথে হেঁটে শিক্ষিত বেকার সমাজকে চাকরি দেওয়া উচিত বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করতেই ব্যস্ত। কি করে পুলিশকে দিয়ে শিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনকে সরিয়ে দিতে হয়, সেই চেষ্টা তিনি সবসময় করে যাবেন। কিন্তু সন্তান সমতুল্য সেই চাকরি প্রার্থীদের মুখে অন্নের যোগান দিতে বিন্দুমাত্র চেষ্টা করবেন না। এটাই এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের রুচিবোধ। কিন্তু বিহারের ঘটনার পর অন্তত এই মুখ্যমন্ত্রীর এবং শিক্ষা দপ্তরের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করাই বৃথা। এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনোরূপ সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তবে বিহার সরকারের এই উদ্যোগ দেখে হয়ত রাজ্য সরকারের বা তৃণমূল নেতাদের লজ্জা হচ্ছে না। কিন্তু বাঙালি হিসেবে লজ্জা হচ্ছে গোটা রাজ্যের মানুষের। বোঝা যাচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গ কতটা তলানিতে চলে যাচ্ছে! কতটা সর্বনাশের মুখে এই রাজ্যকে ঠেলে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা! দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!