এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দুর্নীতির রেকর্ডে নাজেহাল বাংলা, ফের ঘুম উড়লো মমতার! সরব বিজেপি!

দুর্নীতির রেকর্ডে নাজেহাল বাংলা, ফের ঘুম উড়লো মমতার! সরব বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের মানুষ অনেক ভরসা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন। ভেবেছিলেন, বেকারদের চাকরি হবে, রাজ্যে শিল্প হবে। কিন্তু যে ভাবনা নিয়ে মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে, সেই ভাবনা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। বিফলে গিয়েছে মানুষের স্বপ্ন। আজকে সাধারণ মানুষ সুযোগ খুঁজছে, কবে এই তৃণমূল সরকারকে তারা বিদায় জানাতে পারবে! কারণ এই সরকারের আমলে যে পরিমাণ দুর্নীতি, যে পরিমাণ অত্যাচার মানুষের ওপর হচ্ছে, তা হয়ত অতীতে কখনো হয়নি। আজকে বিহার সরকার একের পর এক শিক্ষক নিয়োগ করলেও, পশ্চিমবঙ্গ তা পারছে না। রাজ্যে শুধু আন্দোলন এবং শিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের হাহাকার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দুর্নীতি, অনশন এবং আন্দোলনেই এগিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। কোনো ভালো কাজে বাংলা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। আর এই সবকিছুর জন্য যে দায়ী একমাত্র রাজ্য সরকারের গাফিলতি, তা দিনের আলোর মত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই সেই বিষয়েই এদিন সরকারের মুখোশ খুলে দিয়ে সোচ্চার হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

প্রসঙ্গত, এদিন এই বিষয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “কোনো ভাল কাজে তো রেকর্ড করতে পারবে না পশ্চিমবঙ্গ। এখানে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কেন ফায়ার ব্রিগেড, পুলিশ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় 2 লক্ষ চাকরি দিচ্ছেন না? এই সমস্ত ক্ষেত্রে রেকর্ড না করে শুধুমাত্র অনশন, বিক্ষোভ, আন্দোলনেই রেকর্ড করছে পশ্চিমবঙ্গ।” অনেকে বলছেন, এই রাজ্যকে দেখে এখন গোটা দেশের মানুষ লজ্জা পায়। যে বাংলা একসময় গোটা দেশকে পথ দেখিয়েছে, আজকে সেই বাংলা সব দিক থেকে পেছনের সারিতে। তবে দুর্নীতি বলুন, স্বেচ্ছাচারিতা বলুন, গণতন্ত্র ধ্বংস বলুন, এই সমস্ত দিক থেকে অবশ্য এগিয়ে রয়েছে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু কেন কোনো ভালো কাজে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নজির গড়তে পারছেন না! সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধী দলগুলোর কাছে।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এগিয়ে বাংলার এটাই তো নতুন নিদর্শন! সবদিক থেকে বাংলাকে ধ্বংস করছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। মুখ দেখানোর মতো জায়গা নেই বাংলার মানুষের। আজকে বিরোধীরা কিছু বলতে গেলেই তাদের পুলিশ দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। এই রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। তাই এই সরকারকে বিদায় না জানালে ভালো কিছু হবে না‌। অবিলম্বে ভোটের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতির উপর ভরসা করে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেকারদের চাকরি না দিয়ে কিছু সর্বনাশা প্রকল্প সামনে এনেছেন। মা-বোনেদের সামান্য 500 টাকার ভাতা দিয়ে এবং একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করে তিনি ভাবছেন, তার ভোটব্যাংক রক্ষা করবেন। কিন্তু এর ফলে মানুষের জাগরণ হতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ বুঝতে শুরু করেছে যে, 500 টাকা দিয়ে কিছু হয় না। বরঞ্চ তাদের ঘরে বসে থাকা যে শিক্ষিত ছেলেটা রয়েছে, তাকে চাকরি দিলে অনেক উপকৃত হবেন তারা। তাই রাজ্য সরকারের এই ধ্বংসাত্মক নীতির বিরুদ্ধে মানুষের মনে রাগ, যন্ত্রণা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকলের কাছেই একটা জিনিস পরিষ্কার হচ্ছে যে, রাজ্যকে পিছিয়ে দেওয়ার দিক থেকে রেকর্ড তৈরি করছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ভালো কিছু করার ইচ্ছে তার এবং তার সরকারের নেই। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!