এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিচারপতির বিরুদ্ধে আদালতে, চরম যন্ত্রণায় ভাইপো! সোচ্চার দিলীপ!

বিচারপতির বিরুদ্ধে আদালতে, চরম যন্ত্রণায় ভাইপো! সোচ্চার দিলীপ!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, যারা চাইছেন যে, চোরেদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক, তাদের কাছে ভগবান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং অমৃতা সিনহা। তাদের একের পর এক নির্দেশ এই চোরেদের মুখোশ খুলে দিচ্ছে। আর তাতেই গা জ্বালা করছে তৃণমূল নেতাদের। এখন তৃণমূলের স্বনামধন্য যুবরাজ যিনি বলেন, তিনি নাকি এক পয়সাও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন, তিনি বিচারপতিদের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চলে গিয়েছেন। কিন্তু এসব করে তিনি তদন্তকে আটকে দিতে চাইলেও কি তার কথাতেই সবকিছু চলবে নাকি? পশ্চিমবঙ্গে না হয় আইনের শাসন নেই। কিন্তু দেশে তো তা রয়েছে। তাই মগের মুলুক ভেবে নেওয়া যুবরাজ এবার চরম যন্ত্রণায় পড়ে গেলেন। আর তার যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতির বিরুদ্ধে যখন মামলা করতে উদ্যোগী বাংলার যুবরাজ, তখন এমন এক কথা বললেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ, যার পর মনে করা হচ্ছে যে, সত্যিই হয়ত এবার আন্তর্জাতিক কোনো আদালত থাকলে সেখানেও এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আটকাতে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবেন আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় ভাইপো।

প্রসঙ্গত, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই বিষয় নিয়েই এদিন দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি চাঁচাছোলা জবাব দেন। এদিন এই বিজেপি নেতা বলেন, “এসব কোর্ট অনেক করেছেন। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট এগুলো হয়ে গিয়েছে। এখন হয়ত ইন্টারন্যাশনাল কোর্টে যাবেন। এসব করে কিছু হবে না।” অনেকে বলছেন, যারা এক পয়সা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন বলে বড় বড় গলায় দাবি করেন, তাদের এত ভয় কিসের? যে দুর্নীতি হয়েছে, তার তদন্ত হচ্ছে আদালতের নির্দেশে। সেখানে এত ঔদ্ধত্য কেন যে, বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে হবে? তাহলে কি গোড়াতেই গলদ রয়েছে! ভয় রয়েছে এই যুবরাজের মধ্যে! তিনি ফেঁসে যেতে পারেন যে দাবি বিরোধীরা করছে, তা সত্যি? তাই এখন বিচার ব্যবস্থাকে আটকানোর জন্য, বিচারপতিদের কাজে হস্তক্ষেপ করতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে লম্ফঝম্প করার চেষ্টা করছেন যুবরাজ বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, আজ না হোক কাল, মূল মাথা গ্রেফতার হবেন। আর সেদিন পরিত্রাণ পাবে গোটা রাজ্য। সত্যিই হয়ত যুবরাজের জন্য একটা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট গঠন করা প্রয়োজন ছিল। তিনি সুযোগ পেলে সেখানেও চলে যেতেন এই বিচারপতিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়াকে আটকানোর জন্য। চুরি যে করেছেন, সেটা তো পরিষ্কার। তাই মুখে বড় বড় কথা বললেও, তদন্তকে আটকানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু চুরি করে কেউ রেহাই পাবে না। যারা দুর্নীতি করেছে, খুব দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি, পৌর নিয়োগ দুর্নীতি, সব ঘটনাতেই নাম উঠে আসছে তৃণমূলের নেতাদের। কারও বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থা চলে যাচ্ছে, আবার কেউ বা গ্রেপ্তার হয়ে যাচ্ছেন। তবে সকলে একটাই দাবি করছেন যে, ওপরতলার গ্রিন সিগন্যাল না থাকলে এই সংগঠিত দুর্নীতি সম্ভব ছিল না। ফলে মূল মাথারা কবে গ্রেপ্তার হবে, এটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য বাসীর কাছে। হয়ত সেই জন্যেই আতঙ্কে এখন আবার বিচারপতিদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চলে গিয়েছেন স্বনামধন্য যুবরাজ। দুর্নীতি না করার পরেও তার এত ভয় কিসের? কি চাইছেন তিনি! যদি ভাবেন, এভাবে বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে তদন্তকে আটকে দেবেন, তাহলে তদন্তে ঢিলে হতে পারে। কিন্তু সেটা আটকে যাবে না। বরঞ্চ ভবিষ্যতে আরও প্রবল ফ্যাসাদে পড়তে পারেন স্বনামধন্য ভাইপো। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!