এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জোটের বৈঠক নাকি পিকনিক? চরম বিড়ম্বনায় মমতারা! কটাক্ষ বিজেপির!

জোটের বৈঠক নাকি পিকনিক? চরম বিড়ম্বনায় মমতারা! কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আগামী লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বিরোধী দল গুলোর মধ্যে শুরু হয়েছিল তৎপরতা। তারা সবাই মিলে একত্রিত হয়ে একটি জোট গঠন করেছিলেন। তার নাম দিয়েছিলেন ইন্ডিয়া। কিন্তু বিজেপি এই জোটকে কটাক্ষ করে ইন্ডি জোট বলেই আখ্যা দেয়। বর্তমান ভারতবর্ষে যে রাজনৈতিক অংক রয়েছে, সেই অংক বলে, খুব সহজেই আবারও ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। কিন্তু এটাকে সহ্য করতে না পেরে সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলগুলো নিজেদের মতাদর্শকে উপেক্ষা করে এক ছাতার তলায় আসার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এই জোট যে বাস্তবে ফলপ্রসু হবে না, তা জানাই ছিল। তাই যখন শীতকালের মুডে সকলে পিকনিকে ব্যস্ত রয়েছেন, ঠিক তখনই আবার দিল্লিতে এই জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে একাধিক নেতা নেত্রী অনুপস্থিত রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কে তাহলে এই জোটের মুখ হবেন? আর সেই বিষয় নিয়েই এবার সেই জোটের নেতা-নেত্রীদের কার্যত ধুয়ে দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এমনিতেই তো মুখ বাছতে হিমশিম খাচ্ছেন বিরোধী নেতারা। তার মধ্যে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্য তাদের আরও চাপে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু কি এমন বললেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি?

প্রসঙ্গত, এদিন ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক নিয়ে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এইসব বৈঠক অনেকটা শীতকালের পিকনিকের মত। মাঝেমধ্যেই বৈঠক হয়, আর সেই বৈঠকে পরের বৈঠকের ডেট ঠিক হয়। এছাড়া আর কিছু হয় না। একবার নীতিশবাবু নেতা হয়েছিলেন, তারপর উনি যাননি, মমতা দিদি নেতা হয়ে গেলেন। এখন আবার সমস্যা তৈরি হয়েছে। ফলে এসব হবে। কিন্তু এদের নিয়ে কেউ চিন্তিত নয়। বিজেপি আবার ক্ষমতায় আসবে।” অনেকে বলছেন, এই জগাখিচুড়ি জোটের প্রতি কেউ ভরসা রাখবে না, এটা জানাই ছিল। কিন্তু তবুও তারা সবাই মিলে এক ছাতার তলায় আসার চেষ্টা করেছিলেন, বিজেপিকে আটকানোর জন্য, নরেন্দ্র মোদিকে আটকানোর জন্য। কারণ যে সমস্ত দল এই জোটে রয়েছেন, তারা বেশিরভাগই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাদের বিভিন্ন নেতারা ফেঁসে রয়েছেন। অনেকে জেলের মধ্যে রয়েছেন। ফলে একা তারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে পারবে না জেনেই এক ছাতার তলায় এসে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এখন তাদের মধ্যেই লেগে গিয়েছে যুদ্ধ। কে মুখ হবে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে দড়ি টানাটানি। ফলে ইন্ডি জোটের নামে এখন অশ্বডিম্ব দেখতে তৈরি দেশের মানুষ বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, একসময় দেশে দুটো প্রধানমন্ত্রী থাকার জন্য দেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। কিন্তু এখন বিজেপির বিরুদ্ধে এই জোটে রয়েছে 26 টি দল, যাদের 26 জন নেতা নেত্রী। ফলে দেশ কি 26 টুকরো হবে নাকি? দেশের মানুষ অখণ্ডতার পক্ষে, সংহতির পক্ষে। কেউ চায় না, নিজের দেশ ইজরায়েল হয়ে যাক। তাই সকলেই শক্তিশালী নেতা নরেন্দ্র মোদীর ওপর ভরসা রেখেছেন। ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে। দেশের মানুষ আবার বিজেপিকে ক্ষমতায় আনবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি প্রথম দিন থেকেই একটা হাসির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। যারা সেই জোটে রয়েছেন, তারা কি বলে মানুষের কাছে ভোট চাইবেন? এটা কি আদৌ বাস্তব রূপ নেবে! কিন্তু ক্ষমতা দখলের কি স্পৃহা, কি নেশা এদের মধ্যে! এরা নাকি বিজেপিকে সরাবে! কিন্তু সেটা করতে গিয়ে যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সেটাই বাস্তবায়িত হতে শুরু করেছে। এবার তাদের মধ্যেই লেগে গিয়েছে যুদ্ধ। কে মুখ হবে, তা নিয়ে যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে, এখন সেটাতেই এই বিরোধী জোটের নেতা নেত্রীরা মজে রয়েছেন। তাই বিজেপিকে সরানো তো দূরের কথা, নিজেদের যুদ্ধ চলতে চলতেই 2024 এর নির্বাচন চলে আসবে। আর তাতে চরম পরাজয়ের মুখ দেখবেন বিরোধী জোটে থাকা বিভিন্ন দল। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!