এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শাহজাহানের আরও দুর্গতি, ভয়াবহ তথ্য ফাঁস দিলীপের! উত্তাল রাজ্য!

শাহজাহানের আরও দুর্গতি, ভয়াবহ তথ্য ফাঁস দিলীপের! উত্তাল রাজ্য!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে তৃণমূল সরকার কিছু মডেল তৈরি করেছে। যে মডেলরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন এলাকা দখল করে ধ্বংস করেছে গণতন্ত্র, মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি, মানুষের উপর চালিয়েছে অত্যাচার। হয়ত সেই রকমই একটি এলাকা সন্দেশখালি। যেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। আর তারপর থেকে বাঘ বলে বড় বড় গলায় দাবি করা শেখ শাহজাহান গর্তে লুকিয়ে পড়েন। তার এখন সামনে আসার মত ক্ষমতা নেই। তবে আজ না হোক কাল শেখ শাহজাহান যে ধরা পড়বে, এটা নিশ্চিত। তবে তিনি ধরা পড়ার আগে তাকে নিয়ে যে সমস্ত তথ্য আসছে, তাতে মনে করা হচ্ছে যে, সেই এলাকার মানুষ এতদিন কি পরিমান ভয় এবং যন্ত্রণার মধ্যে ছিলেন, কি পরিমান আতঙ্কে ছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। এবার রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ সেই শেখ শাহজাহানকে নিয়ে দিলেন আরও বড়সড় তথ্য।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “শেখ শাহজাহান আমাদের চারজন কর্মীকে খুন করেছে। ওই এলাকা উপদ্রুত এলাকা। ওখানে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয় না, মানুষের ওপর অত্যাচার করা হয়। মানুষের ত্রিপল, ত্রাণ চুরি করে নেওয়া হয়েছে।” একাংশ বলছেন, শুধু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর হামলা করা নয়। এলাকায় সারা বছর এই অত্যাচার চালান শেখ শাহজাহান। তাই তার ওপর বিরক্ত সাধারন মানুষ। ফলে তিনি এখন কোথাও একটা লুকিয়ে রয়েছেন। আর এই সরকার তাকে আশ্রয় দিচ্ছে। ফলে পুলিশ জানে তিনি কোথায় রয়েছেন। কিন্তু তারপরেও পুলিশ তাকে ধরবে না। কারণ এরাই এই তৃণমূল সরকারের সম্পদ। এরাই ভোট লুট করে তৃণমূলকে জেতায়। তাই সে ধরা পড়ে গেলে অনেক গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে। তবে এই রকম ব্যক্তির ধরা পড়া অত্যন্ত প্রয়োজন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, শেখ শাহজাহানকে অবিলম্বে ঘাড় ধরে জেলে ঢোকানো উচিত। এত বড় ক্ষমতা হয় কি করে এই চুনোপুটি নেতাদের? তিনি নাকি অনেক বড় বীর! তাহলে এলাকায় অত্যাচার করার পর, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে হেনস্থা করার পর তিনি গর্তে ঢুকে গেলেন কেন? ক্ষমতা থাকলে বাইরে বেরিয়ে আসুন। তবে আজ না হোক কাল, তাকে ধরা পড়তেই হবে। আর সেদিন হিংসামুক্ত হবে এই এলাকা। তবে এই সমস্ত রোল মডেলরাই যদি তৃণমূলের সম্পদ হয়, এদের ওপর ভরসা করেই যদি তৃণমূল ভাবে যে, তারা দেশের ক্ষমতা দখল করবে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন অনিবার্য বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, গোটা রাজ্যজুড়ে চর্চিত নাম এই শেখ শাহজাহান। বাম আমলেও এরকম অনেক নাম ছিল। কিন্তু তারা এখন মিলিয়ে গিয়েছেন। ফলে শাহজাহানের অধ্যায়ও কার্যত সমাপ্ত। তিনি এখন ভয়ে কোথাও একটা লুকিয়ে রয়েছেন। কিন্তু এতদিন যে অত্যাচার হয়েছে তার হাত ধরে, তাতে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকেও দাবি করা হচ্ছে যে, এবার একটা বিচার হোক এই চরম অপরাধীর। মানুষকে যন্ত্রণা দিয়ে চোখের জল ফেলিয়ে অনেক কুকীর্তি তিনি করেছেন। কিন্তু সব সীমা লংঘন করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর তার সৌজন্যে এই হামলা। ফলে যত সময় যাচ্ছে, ততই শেখ শাহাজাহানের কুকীর্তির চিত্র আরও সামনে আসতে শুরু করেছে। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!