এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চরমে সংঘাত, শিক্ষামন্ত্রীকে বেকায়দায় ফেললেন রাজ্যপাল!

চরমে সংঘাত, শিক্ষামন্ত্রীকে বেকায়দায় ফেললেন রাজ্যপাল!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের রাজ্যপাল সরকারকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন, নাকি তাদের অন্যায্য কাজের বিরোধিতা করছেন, তা সত্যিই বুঝতে পারেন না অনেকেই। কিন্তু মাঝেমধ্যেই তার প্রদক্ষেপ বিরোধী মহল স্বাগত জানাতে বাধ্য হয়। কারণ তিনি এই সরকারের বেশ কিছু কার্যকলাপকে ইচ্ছেমতো টাইট দিতে পারেন। কিছুদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠেছিল। আর এবার রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে পাঠানো একটা চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মোক্ষম জবাব দিলেন রাজ্যপাল। যেখানে তিনি এই চিঠির কোনো উত্তর দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। আর যাকে কেন্দ্র করেই রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। যদিও বা পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তিনিও। কিন্তু রাজ্যপাল যে যুক্তি দিয়েছেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, এদিন শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে রাজভবনকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যপাল স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, তিনি কোনো বিভাগীয় দপ্তরের প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ। এক্ষেত্রে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জানতে চাওয়া হয়, তাহলে তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। এদিকে রাজ্যপালের এই বক্তব্যের পরেই পাল্টা টুইট করে তাকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তার যুক্তি, শিক্ষা দপ্তর কি সরকারের একটি বিভাগ নয়? ‌

একাংশ বলছেন, সৌজন্যতা দেখিয়ে মাঝেমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক হয়। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক যে ক্রমশ তলানিতে পৌঁছেছে, তা এর মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর রাজ্যপাল নিজের পদের গরিমা ধরে রাখতে বারবার যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রয়োজনে কথা বলবেন এই সরকারের প্রধানের সঙ্গে। তবে মন্ত্রীদের কথার গুরুত্ব যে তার কাছে নেই, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সাংবিধানিক প্রধান। এক্ষেত্রেও তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই সরকারের একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। যেভাবে শিক্ষা দপ্তরকে পরিচালিত করতে চাইছে এই রাজ্য সরকার, তাকে টাইট দিচ্ছেন রাজ্যপাল। শিক্ষামন্ত্রী ভুলে গিয়েছেন তার সীমাবদ্ধতা। শিক্ষাব্যবস্থাকে লাটে তুলে দিয়ে এই সরকার বেকার যুবক যুবতীদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে। তাই আগামী দিনে রাজ্যপালের কাছ থেকে আরও সদর্থক ভূমিকা আশা করে বাংলার মানুষ বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই চিঠি ইস্যুতে আবার নতুন করে সংঘাত তৈরি হবে রাজ্য এবং রাজ্যপালের মধ্যে। হয়ত এরপর আবার অতীতের মত রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে বেলাগাম মন্তব্য করবেন রাজ্য সরকারের একের পর এক মন্ত্রীরা‌। কিন্তু এসব করে তারা নিজেদের সমস্যা নিজেরাই বাড়াচ্ছেন। সাংবিধানিক রীতি-নীতি উপেক্ষা করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্ত্রীদের বক্তব্য মোটেই শোভা পায় না। তবে রাজ্যের মানুষ যে বিপদে রয়েছে, রাজ্যের মানুষ যে ভালো নেই, এটা বোঝার মত ক্ষমতা হয়ত এই সরকারের নেই। তারা নিজেদের মত রাজ্যপালের সঙ্গে ঝগড়া করতেই ব্যস্ত। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!