দলে চাই তরুণ রক্ত, তৃণমূলের সংগঠনে আসতে চলেছে বড়সড় পরিবর্তন? তীব্র জল্পনা ঘাসফুল শিবিরেই তৃণমূল বর্ধমান রাজনীতি রাজ্য August 19, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের যুবশক্তির উপরে বিশেষ আস্থা জ্ঞাপন করেছেন। বেশি বেশি করে দলের যুব শক্তিকে সামনে এনে তিনি রাজ্যের যুবকদের সমর্থন লাভ করতে চান বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত। আর দলের যুবশক্তিকে অধিক গুরুত্ব দিতে গিয়েই পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৃণমূল সংগঠনে আসতে চলেছে ব্যাপক পরিবর্তন। পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূল সংগঠনের জেলা সভাপতি বদলের পর পর এবার এই অঞ্চলের যুব তৃনমূল সংগঠনেও ব্যাপক রদবদলের সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, এবার থেকে ৪০ বছরের কম বয়সী সদস্যদের হাতেই যুব সংগঠনের দায়িত্ব তুলে দেয়া হবে। সেইসঙ্গে যুব জেলা কমিটিতেও ৪০ এর উর্ধে কেউ আর স্থান পাবেন না। এ কারণেই জেলা কমিটিও পূর্বের চেয়ে ক্ষুদ্র হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, শাসকদলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এখন থেকে দলের যুব সংগঠনের জেলা স্তর ও বুথ স্তরে চল্লিশোর্ধ কোন তৃনমূল সদস্য আর স্থান পাবেন না। এ কারণে অনেকে মনে করছেন এবার এই জেলার বহু গুরুত্বপূর্ণ নেতা পদ থেকে বহিঃকার হতে চলেছেন। তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি মেমারি ১, মঙ্গলকোট, মন্তেশ্বর, বর্ধমান শহর, জামালপুর, আউশগ্রাম ১, আউশগ্রাম ২, মেমারি শহর, পূর্বস্থলী ২, দাঁইহাট শহর, রায়না ২, কেতুগ্রাম ১, কেতুগ্রাম ২ ইত্যাদি ব্লকে নতুন করে যুব সভাপতি ঘোষিত হতে চলেছেন। সেই সঙ্গে সরতে চলেছেন দলের পুরনো সভাপতি ও সহ-সভাপতি। তবে আশঙ্কার কারণ নেই, কারণ, দল থেকে তাঁরা বাদ যাবেন না, বরং দলের অভ্ন্তরীন কোন গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী কাজের সুযোগ লাভ করবেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমানের ভাতার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুভাষ মন্ডলকে জেলা যুব সভাপতি পদ থেকে অপসারিত করে তাঁকে পূর্ব বর্ধমান জেলার কোঅর্ডিনেটর করে দিয়ে এই জেলার বেশ কিছু বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়েছে। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের যুব জেলা সভাপতি হিসেবে সম্প্রতি উন্নীত হলেন শাসকদলের বিখ্যাত প্রাক্তন ছাত্রনেতা রাসবিহারী হালদার। সভাপতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জেলা যুবদলের কমিটিও ভেঙে দেওয়া হলো। আর সেই সঙ্গে ৪০ বছরের উর্দ্ধসীমা বেঁধে দেওয়ায় পুরোনো দেড় অনেকেই আর ফিরে আসতে পারবেন না। যুব তৃনমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের প্রকৃতি ব্লক্ ও শহরের জন্য চল্লিশের কম বয়স্ক দুজন করে সভাপতির নাম আপাতত রাজ্য নেতৃত্বর নিকটে জমা পড়েছে। তৃণমূল সূত্রে বলা হয়েছে ৪৫ থেকে ৫৫ জন সদস্যকে নিয়েই এবারে নতুন করে জেলা যুব কমিটি গঠন করা হবে। ৪০ এর কম বয়সের ও সৎ, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি অধিকারীদেরই নতুন কমিটিতে স্তাবনা দেওয়া হবে। জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদারকে রাজ্য নেতৃত্বের সমস্ত নির্দেশ মেনেই তাঁরা আগামীতে কাজ করতে চলেছেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্ত্যব্য, ” সবাই সংগঠনের লোক। সংগঠন কী ভাবে চালাতে হয়, তাঁরা জানেন। সবার অভিজ্ঞতা নিয়ে চলব।’’ অন্যদিকে যুব সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরই রাসবিহারী হালদার পূর্ব বর্ধমানের সমস্ত ব্লক ঘুরে সংগঠনের সমস্ত বিষয়ের খোঁজ নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই জেলার বেশ কিছু স্থানে অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের উদ্যোগে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে ‘যুবশক্তি’ কর্মসূচি, কিন্তু এর সংগঠন এখনো পর্যন্ত সেরকম মজবুত হতে পারেনি বলে জানা যাচ্ছে। তবে এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘সব জায়গাতেই এখন যুবশক্তির বুথভিত্তিক সংগঠন হয়ে গিয়েছে। এই ক’দিনে বহু যুবক ওই সংগঠনে যোগ দিয়েছেন। প্রত্যেক সদস্য ১০টি করে বাড়ির দায়িত্ব নিয়েছেন। ‘সোশ্যাল মিডিয়া গ্রূুপ’-এর মাধ্যমে ওই সব বাড়ির সমস্যা জেনে সমাধান করা হবে। কোনও কারণে নিচুতলায় সমস্যা না মিটলে রাজ্য নেতৃত্বকে জানানোর সুযোগ রয়েছে।’’ আপনার মতামত জানান -