এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আইনের শাসন নেই বাংলায়, সংসদে মুখ পুড়লো মমতার! ধুয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী!

আইনের শাসন নেই বাংলায়, সংসদে মুখ পুড়লো মমতার! ধুয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এতদিন ধরে অনেকেই বলাবলি করছিলেন যে, বাংলায় বিজেপি কর্মীরা লড়াই করলেও ওপর তলায় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সেটিং করে নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইপো। কিন্তু যাদের এই বক্তব্য ছিল, তাদের কাছে এবার একটা খুশির খবর চলে এলো। আর খুশির খবর হচ্ছে সেটাই যে, বিজেপির রাজ্য স্তরের কর্মী, নেতা থেকে শুরু করে একদম কেন্দ্রীয় স্তরের নেতৃত্ব, সকলের একটাই মনোভাব, পশ্চিমবাংলায় গণতন্ত্র নেই। অর্থাৎ বাংলায় আইনের শাসনকে স্থাপন করার জন্য বিজেপি যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে বঙ্গ বিজেপিকে সব রকম সহযোগিতা করতে তৈরি কেন্দ্রীয় বিজেপি। এদিন লোকসভার অধিবেশনে সেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় আইন-শৃঙ্খলার কি করুন পরিস্থিতি। তুলনা করেছেন দেশের আইন শৃঙ্খলার সঙ্গে বাংলার আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি। কিন্তু এতসবের পরেও নিজেদের সামান্য মুখ রক্ষা করতে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্য প্রশাসনকে সঠিক পথে পরিচালিত করার মতো সাহস দেখাবেন! নাকি ভেঙে পড়া প্রশাসন নিয়েই তিনি আগামী রাজ্যকে সর্বনাশের মুখে ফেলে দেবেন! তা নিয়েও সংশয় রয়েছে বিরোধীদের মধ্যে।

প্রসঙ্গত, এদিন সংসদে বক্তব্য রাখার সময় বাংলার আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি তুলে ধরে তৃণমূল সাংসদদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নির্মলা সীতারামন আদালতের পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরে জানিয়ে দেন যে, বাংলায় নির্বাচন হওয়ার পর একটি সরকার ক্ষমতায় এলেও সেখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। এখানে খুন, হিংসা, নারী নির্যাতন বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে। কিন্তু 60 শতাংশ ঘটনার ক্ষেত্রে এফআইআর করা হয় না। পাশাপাশি তিনি এটাও স্পষ্ট করেছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারও নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জিতে এসেছে। কিন্তু নির্বাচনে জিতলেই সব হয়ে যায় না। তারপর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সুষ্ঠুভাবে পালন করাই একটি সরকারের প্রধান লক্ষ্য। আর এসব পশ্চিমবঙ্গের সরকার করতে ব্যর্থ বলেই ইঙ্গিত দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

ইতিমধ্যে গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, গোটা দেশের মানুষ বাংলার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। বাংলায় এই ফ্যাসিস্ট তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করার দিন ঘনিয়ে এসেছে। সংসদেও বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাই কিছুটা হলেও সেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার দিকে নজর দেওয়া উচিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু পুলিশ যাদের দলদাস হয়ে গিয়েছে, সেখানে এই নির্লজ্জ প্রশাসনের কাছ থেকে এটা আশা করাই বৃথা। এই সরকারকে বিদায় না দিলে বাংলায় সুষ্ঠ আইন শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বড় বড় কথা বলেন। বিদেশি অতিথিদের সামনে নিজের বাংলার সেরা বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু দেশের লোকসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বাংলা নিয়ে যে কথা বললেন, তারপর তো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে লজ্জা হওয়া উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে বিন্দুমাত্র সময় না নিয়ে তার ইস্তফা দেওয়া উচিত। কিন্তু তিনি সেটা করবেন না, এটা বিরোধীরা খুব ভালো মতোই জানে। তাই যদি লজ্জা থাকে, তাহলে প্রশাসনকে অন্তত নিরপেক্ষ করার দিকে নজর দিন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী। তাহলে অন্তত দেশের সামনে বাংলার মান কিছুটা হলেও অক্ষত থাকবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!