প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের পর ভিনরাজ্যে পাড়ি দিতে উদ্যত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতে পৌঁছে গিয়েছে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। আর এবার বাংলায় যে স্লোগান ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছে ঘাসফুল, সেই “খেলা হবে” স্লোগান বিজেপির শক্ত ঘাঁটি উত্তরপ্রদেশেও ছড়িয়ে দিতে চাইছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। যাকে ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে যে, এবার আগামী 2022 সালে হতে চলা উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মুখোমুখি হতে এখন থেকেই তৃনমূল প্রস্তুতি নিতে চলেছে। আর সেই কারণেই বাংলা থেকে “খেলা হবে” দিবস উত্তরপ্রদেশের মাটিতে নিয়ে গিয়ে গেরুয়া শিবিরকে বার্তা দেওয়ার কৌশল তৃণমূলের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, আগামী 16 আগস্ট পশ্চিমবঙ্গে “খেলা হবে” দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে পশ্চিমবঙ্গে তৃনমূলের সরকার থাকার কারণে এই দিনটিকে প্রশাসনিক ভাবে পালন করছে ঘাসফুল। তবে অন্য রাজ্যেও সংগঠন বিস্তার করতে তৎপর তৃণমূল। তাই সেই কারণে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি তথা ভারতবর্ষের সবথেকে বড় রাজ্য বলে পরিচিত উত্তরপ্রদেশে খেলা হবে দিবস পালন করতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

এক্ষেত্রে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে। একাংশের যুক্তি, এর মধ্যে দিয়ে তৃণমূল বুঝিয়ে দিতে চাইছে, তারা আগামীদিনে উত্তরপ্রদেশেও সংগঠনের বিস্তার করবে। তাই আগামী বছরে সেখানকার বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই এই উদ্যোগ তৃণমূলের বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

ইতিমধ্যেই এই “খেলা হবে” দিবস পালনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের এক তৃণমূল নেতা। এদিন এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতা বলেন, “আগামী 16 আগস্ট উত্তরপ্রদেশে খেলা হবে দিবসের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আর সেই উপলক্ষে লখনউয়ে একটি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে।” এদিকে শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, আগামী দিনে গোটা দেশেই নিজেদের শক্তির বৃদ্ধি করবে তৃণমূল বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা তাপস রায়। অর্থাৎ “খেলা হবে” দিবসকে হাতিয়ার করে এখন বিজেপির চোখে চোখ রেখে উত্তরপ্রদেশেও প্রবেশ করার প্রস্তুতি তৃণমূলের। সব মিলিয়ে বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে তৃণমূলের এই কর্মসূচি কতটা সাফল্য পায় এবং তার ফলে বিজেপি পাল্টা কি প্রস্তুতি গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।