এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কোন ফর্মুলায় মিলবে পুরসভার টিকিট স্পষ্ট করে দিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী, জানুন বিস্তারিত

কোন ফর্মুলায় মিলবে পুরসভার টিকিট স্পষ্ট করে দিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী, জানুন বিস্তারিত

সামনে কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যজুড়ে শুরু হতে চলেছে পুরসভা নির্বাচন। আর এর পরেই আসছে 2021 এর রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। এই বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখেই শুরু হবে রাজনৈতিক দলগুলোর বাংলার মসনদ দখলের লড়াই। আপাতত বিধানসভা নির্বাচনকে ফাইনাল ম্যাচ ধরে নিয়ে সেমিফাইনাল ম্যাচ পুরসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। সেই অনুযায়ী প্রত্যেকে রণকৌশল তৈরি করছে। ইতিমধ্যে শাসক দল তৃণমূলের পক্ষ থেকেও পুরনির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে রীতিমত প্ল্যানমাফিক এগোনো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায়। তবে পরবর্তীতে উপনির্বাচনের হাত ধরে তাঁরা কিছুটা হারিয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধার করে। তবে এবার রীতিমতো আঁটঘাট বেধেই লড়াইতে নামছে তাঁরা। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ব্যাকফুটে ফেলে দেওয়ার পেছনে ছিল রাজ্যে বিজেপি দলের উত্থান। এবার শাসক দল তৃণমূল মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপির উত্থান আটকে দেওয়ার। সেই লক্ষ্যেই এবার পুরসভা নির্বাচনে বাছাই প্রার্থীদের শর্তসাপেক্ষে টিকিট দেওয়া হবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।

অন্যদিকে, তৃণমূলের অন্দরেও পুরনির্বাচনের টিকিট পাওয়া নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে, দলের পক্ষ থেকে যেসব কাউন্সিলররা টিকিট  পাচ্ছেন না তাঁদের সমগ্র বিষয়টি পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা করে দেওয়া হচ্ছে। মোদ্দাকথা, পুরনির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসক দল তৃণমূল রীতিমত চিন্তা ভাবনা করে পা ফেলছে। দলীয় সূত্রে খবর, এবারের পুরনির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের টিকিট দেবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে। তাই টিকিট প্রাপ্তি নিয়ে চাপানউতোর চলছে দলের অন্দরেই। তবে দঃলের উচ্চমহল থেকে কর্মীদের বার্তা দেওয়া হয়েছে, টিকিটের কথা না ভেবে কাজে মন দেওয়ার জন্য। যাদের যে কাজ বাকি পড়ে আছে, তাঁরা যেন তাঁদের সেই কাজ শেষ করেন। কারণ মুখ্যমন্ত্রী কাজে সন্তুষ্ট হলে তবেই নির্বাচনে লড়ার টিকিট হাতে পাওয়া যাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে পুরসভার নির্বাচন হেতু একটি বৈঠক করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুরসভার নির্বাচনের প্রার্থী হতে গেলে প্রথম এবং একমাত্র বিকল্প হলো কাজ। যেসব কাউন্সিলর তাঁর ওয়ার্ডের 100% কাজ নিশ্চিত ভাবে পূরণ করতে পারবেন, তিনিই প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন নিশ্চিতভাবে।  তবে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে অনেক কাউন্সিলর টিকিটের আশা ছেড়ে দিয়ে হতোদ্যম হয়ে ওয়ার্ডের কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছেন। আবার অনেকেই সংরক্ষণের কোপে পড়বেন বলেও পুরসভার কাজ নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে কঠোর সাবধানবাণী দেন এদিন সুব্রত বক্সী এবং ফিরহাদ হাকিম।

বৈঠকে পরিষ্কার করে কাউন্সিলরদের জানিয়ে দেওয়া হয়, পাঁচ বছরের জন্য যে দায়িত্ব তাঁদের দেওয়া হয়েছে, তার সম্পূর্ণটাই পালন করতে হবে তাঁদের। টিকিট পাচ্ছেন না বলে যদি হতোদ্যম হয়ে পড়েন, তাহলে সেটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বিশ্বাস রাখেন 100% উন্নয়নের কাজে। এদিন ফিরহাদ হাকিম আরো জানান, যাঁরা সংরক্ষণের জন্য এবার টিকিট পাবেন না, তাঁরা পরিষেবার কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর দায়িত্ব মানুষের জন্য কাজ করা। সেই দায়িত্ব পালন করলে মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে অবশ্যই পুরস্কারপ্রাপ্তি ঘটবে।

রাজ্যের দরজায় কড়া নাড়ছে পুরসভা নির্বাচন। আর সেই নিয়েই পশ্চিমবঙ্গে এই মুহুর্তে সাজো সাজো রব। রাজনৈতিক শিবিরগুলি নির্বাচনী ক্ষেত্রে নামার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরসভা নির্বাচন হওয়ায় আগামী দিনের রাজনৈতিক প্রতিচ্ছবি কিছুটা হলেও ফুটে উঠবে পুরসভা নির্বাচনের ফলাফলে। তাই সেই প্রতিচ্ছবি যাতে নিজেদের ফুটে ওঠে সেদিকে নজর দিতে এই মুহূর্তে ব্যস্ত শাসক দল। প্রসঙ্গত, এবার রাজ্যের প্রায় অর্ধেক জুড়ে পুরসভার নির্বাচন হতে চলেছে। আপাতত সম্পূর্ণ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!