এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শাস্ত্র চুলোয় যাক! মহালয়ার আগেই পূজোর উদ্বোধনে মাননীয়া! মমতার বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ শুভেন্দুর!

শাস্ত্র চুলোয় যাক! মহালয়ার আগেই পূজোর উদ্বোধনে মাননীয়া! মমতার বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি অনুযায়ী মহালয়ার পর থেকে শুরু হয় দেবী পক্ষ। আর সেই সময় ষষ্ঠীর দিন থেকে শুরু হয় দুর্গার পুজো। কিন্তু বর্তমান রাজ্যের শাসক দল এবং তাদের মুখ্যমন্ত্রী বদান্যতায় এখন ক্লাবগুলোতে পূজো উদ্বোধন শুরু হচ্ছে মহালয়ার আগে থেকেই। এবারেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না অসুস্থ থাকার কারণে বাড়ি থেকেই আগামীকাল ভার্চুয়ালি একের পর এক পূজো উদ্বোধন করতে শুরু করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দেবিপক্ষ না পড়তেই কিভাবে এই পুজো উদ্বোধন করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিভাবে হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি এবং শাস্ত্রকে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অবজ্ঞা করছেন, সেই ব্যাপারেও সোচ্চার হলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপির একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আগামীকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ফিতে কাটতে শুরু করে দেবেন। মহালয়ার পর থেকে দেবী পক্ষ শুরু হয়। কিন্তু এখন নিয়ম-কানুন কিছুই মানা হয় না। পঞ্জিকা মতে পুজো হয় না। দুর্গা পুজোটাকে এই রাজ্য সরকার কালচারাল ফেস্টিভ্যাল বানিয়ে দিয়েছেন।” অনেকে বলছেন, সত্যিই তো তাই। কেন দেবী পক্ষ না পড়তেই পুজোর উদ্বোধন করবেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী? তিনি যুক্তি দিতেই পারেন, তার সময়ের অভাব রয়েছে। তাই তিনি এভাবে পুজো উদ্বোধন করবেন। কিন্তু হিন্দু ধর্মের নিয়ম কানুন বলে তো একটা কথা রয়েছে। এটা কি তিনি অন্য কোনো ধর্মের সঙ্গে করতে পারতেন? তার চাপানো নিয়ম কি অন্য কোনো ধর্মের ওপর চাপিয়ে দিতে পারতেন! তাই তিনি যে ধর্মের মানুষ, সেই ধর্মের প্রধান পুজো দুর্গা পুজোকে তিনি এইভাবে শাস্ত্রের বাইরে বেড়িয়ে কেন অমান্য করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, হিন্দু ধর্মের প্রতিনিয়ত অবক্ষয় হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। স্বাস্থ্যমতে এখানে দুর্গা পুজো করা অপেক্ষা টাকা দিয়ে নিজেদের গা জোয়ারি করতে চাইছে রাজ্য সরকার। ক্লাবগুলোকে টাকা দিয়ে রাজ্য এমন একটা ভাব দেখাচ্ছে, যেন তারা যেটা ঠিক করে দেবে, সেটাই ঠিক। তাই মহালয়ার আগে থেকেই পুজো উদ্বোধনের পালা শুরু হয়ে যাচ্ছে। পঞ্জিকার আজকে আর কোনো দাম নেই। শাস্ত্রের কোনো দাম নেই। দেবীর বোধনের আগেই একের পর এক পুজো মণ্ডপে ফিতে কেটে তার উদ্বোধন করে দিচ্ছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন জরুরি। অবিলম্বে হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করতে হলে নিয়ম অনুযায়ী দুর্গাপুজো করতে হবে এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে সেই পথেই চলতে হবে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কথায় কথায় বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই কথার সঙ্গে বিরোধীরাও সহমত পোষণ করেন কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু ধর্মের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীও তো হিন্দু ধর্মের মানুষ। তার বাড়িতেও তো কালীপুজো হয়। সেখানে তো কোনোরূপ নিয়ম কানুনের অমর্যাদা হয় না। তাহলে কেন বাংলার সব থেকে বড় উৎসব, বড় পূজো দুর্গাপুজোতে পঞ্জিকা মতে নিয়ম ধরে পুজো হবে না? কেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কথা মত আগে থেকেই দেবী পক্ষ পড়ার আগেই পূজোর উদ্বোধন শুরু হয়ে যাবে ক্লাবগুলোতে? নাকি এই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী সোচ্চার হওয়ার পরে এবার সরকারের পক্ষ থেকে এই যুক্তি দেওয়া হবে যে, তারা দূর্গা পুজো করার জন্য ক্লাবগুলোকে টাকা দেয়, তাই তারা যা বলবে, সেটাই করতে হবে! যদি তাই ভেবে নেয় রাজ্য সরকার, তাহলে হিন্দুরা আগামী দিন একত্রিত হয়ে তাদের এই নিয়মকে তুলে দিয়ে শাস্রমতে নিয়ম পালন করানোর জন্য আওয়াজ তুলবে। আর সেদিন আসতে খুব বেশি দেরি নেই। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজ্যের হিন্দুপ্রেমী সনাতনীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!