এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের বড়সড় অস্বতিতে মমতা সরকার, হাইকোর্ট এবার বাড়ালো চাপ

ফের বড়সড় অস্বতিতে মমতা সরকার, হাইকোর্ট এবার বাড়ালো চাপ


করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ভিন রাজ্য থেকে যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরেছে তাদের হাত ধরে ফিরেছে ছোট শিশুরাও। পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরত আসার পর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু এবার প্রশ্ন উঠল বাবা-মা’র হাত ধরে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের শিশুদেরকে নিয়ে। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর এবং নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের কাছে কাছে পরিযায়ী শ্রমিকদের শিশুদের জন্য করোনা পরিস্থিতিতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

যে সমস্ত শিশুরা পরিযায়ী শ্রমিকদের হাত ধরে রাজ্যে ফিরেছে তাদের ক্ষেত্রে কতজনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, কতজনের করোনা সংক্রমণ দেখা গেছে, যারা সংক্রামিত তাদের ক্ষেত্রে রাজ্যের তরফ একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে কতজন চিকিৎসক মজুত রয়েছেন, সেই শিশুদের খাদ্যের কি ব্যবস্থা করা হচ্ছে, কতজনকে কোয়ারেন্টাইন রাখতে হয়েছে সমগ্র বিষয় নিয়ে কলকাতা শীর্ষ আদালতের তরফে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

সূত্রের খবর, এরপর স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে যে তথ্য প্রকাশ করা হয় তাতে দেখা যাচ্ছে গত ৪ ঠা জুন পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের হাত ধরে মোট ২৯৬৫৮ জন শিশু এ রাজ্যে ফিরেছে। এরমধ্যে ৫৩৬০ জন শিশুকে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে মোট ২৪২৯৮ জন শিশুকে। স্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্র অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত ৩০০৫ জন শিশুর করো না পরীক্ষা করা হয়েছে যারা পরিযায়ী শ্রমিকদের হাত ধরে রাজ্যে ফিরেছে। এদের মধ্যে ৮৪৩ জন শিশুর ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।

এছাড়াও ৪৩ জন শিশুর ক্ষেত্রে ‘হায়ার রেফারেল’ শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। জানা যাচ্ছে এই রিপোর্ট শীর্ষ আদালতের কাছে পেশ করার পর তথ্যে বেশ কিছু খামতি রয়েছে বলে জানানো হয়। আর সেই কারণেই শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব রূপম বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রথম শুনানির দিন জানানো হয় এই রিপোর্টের মধ্যে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী ১৬ তারিখের মধ্যে সমগ্র তথ্য সংযোজন করে ফের রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সূত্রের খবর এই সংযোজিত তথ্যগুলির মধ্যে থাকবে গত ৪ঠা জুন পর্যন্ত যে ৩০ হাজার শিশু পরিযায়ী শ্রমিকদের সাথে ফিরেছে তাদের মধ্যে কেন মাত্র ৩ হাজার শিশুর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বাকি শিশুদের এই পরীক্ষা থেকে কেন বাদ দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট জানাতে হবে। এছাড়া যে শিশুদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের মধ্যে কতজন করোনা সংক্রামিত সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য রিপোর্টে দেওয়া নেই তাই এই বিষয়টি পরিস্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে‌ যে ‘হায়ার রেফারেল’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটা ঠিক কি ক্ষেত্রে বোঝানো হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য রিপোর্টে নেই। আবার ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে যে সমস্ত শিশুকে রাখা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং কত জন চিকিৎসক সেখানে পরিষেবা দিচ্ছেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য পেশ করা রিপোর্টে উল্লেখ করা নেই।

সূত্রের খবর এই সমস্ত বিষয় গুলি বিস্তারিতভাবে জানিয়ে কোলকাতা শীর্ষ আদালতের তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে নতুন রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত বিরোধী দলনেতাদের মতে রাজ্য সরকারের তরফে ফের করোনা প্রসঙ্গ নিয়ে তথ্য লুকানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের ধারণা অনুযায়ী শীর্ষ আদালতের নতুন করে দেওয়ায় নির্দেশ রাজ্য সরকারের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, এমনটাই সূত্রের খবর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!