এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা থেকে বাঁচতে হাত ধুতে গিয়ে, বড়সড় ক্ষতি হচ্ছে, আস্তে চলেছে বড়সড় বিপদ, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা!

করোনা থেকে বাঁচতে হাত ধুতে গিয়ে, বড়সড় ক্ষতি হচ্ছে, আস্তে চলেছে বড়সড় বিপদ, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা!


করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর মূলমন্ত্র হিসাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বারবার হাত ধোয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি রাজ্যে তৈরি হওয়ার পর থেকেই রাজ্য সরকারের তরফেও বারংবার জানানো হয়েছে কিছুক্ষন অন্তর নির্দিষ্ট সময় ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। বর্তমানে লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ার কারণে মানুষজন বাড়ির বাইরে বেরোতে শুরু করেছেন। কার্যত বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে জামা কাপড় ধোয়া, হাত মুখ ধোয়া ইত্যাদি রয়েছেই। তার সাথে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না তাদের ক্ষেত্রে হাত ধোয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

মূলত সাবান দিয়ে হাত ধুলে করোনা সংক্রমণ কিছুটা হলেও ঠেকানো যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এই পরিস্থিতিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিভাগের একটি সমীক্ষায় ধরা পড়েছে বর্তমানে অতিরিক্ত জল ব্যবহার করার কারণে টানা ৭২ ঘন্টা পাম্প চালানো হলে ভূগর্ভস্থ জলস্তর প্রায় সাড়ে তিন মিটার নেমে যায়। যা পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরতে বেশ সময় লাগে।

বিশেষজ্ঞদের সমীক্ষা অনুযায়ী গত পাঁচ দশকে কলকাতার ভূগর্ভস্থ জল স্তর প্রায় ৭ থেকে ১১ মিটার নেমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বর্তমানে বিশেষ করে আবাসনগুলোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে ভূগর্ভস্থ জল তোলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। কেবলমাত্র কলকাতায় নয় আশেপাশের শহরতলী অঞ্চলগুলোতেও বারংবার হাত ধোয়ার কারণে অতিরিক্ত জল অপচয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত অধ্যাপক পঙ্কজ কুমার রায় এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, কলকাতার যে সমস্ত এলাকায় জল স্তর অনেকটাই নীচে ছিল সেখানে বর্তমানে অতিরিক্ত জল খরচের কারণে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

মূলত কলকাতার বড় বড় বাড়ি গুলোর ক্ষেত্রে জল খরচ বেশি হচ্ছে। জলের উৎস হিসেবে ভূপৃষ্ঠস্থ জল এবং ভূগর্ভস্থ জল‌ই মানুষের শেষ ভরসা। তাই করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য হাত ধোয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেক্ষেত্রে কলকাতা ও তার আশেপাশের অঞ্চলে জলস্তর নেমে যাওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি। সেক্ষেত্রে বিকল্প কোন ব্যবস্থা গ্রহণের কথা তিনি এদিন বলেছেন বলে জানা গেছে।

যদিও প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে গবেষকদের মতে যেহেতু দীর্ঘ তিন মাস লকডাউনের কারণে কৃষিকাজ এবং শিল্প বন্ধ ছিল তাই সে ক্ষেত্রে যে জল ব্যবহৃত হয় সেগুলি অনেকটাই বন্ধ ছিল। কার্যত জলস্তর নেমে যাওয়ার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে তার পরবর্তী ক্ষেত্রে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ালেও এই মুহূর্তে আশঙ্কাজনকভাবে জলস্তর কমেনি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

এদিন আইআইটি, রুরকির ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়াটার রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’-এর অধ্যাপক এস কে শুক্লা জানিয়েছেন, কলকাতায় বর্ষার পর জলস্তর নেমে যাওয়া সংক্রান্ত বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার হবে। কারণ বৃষ্টির জল ভূগর্ভে স্বাভাবিক নিয়মেই প্রবেশ করবে কার্যত কিছুটা হলেও জলস্তর বাড়বে। তাই রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণের ওপর জলস্তরের ভারসাম্যের বিষয়টি নির্ভর করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!