রাজনৈতিক দলগুলির ভোটের প্রচারের টাকা দিক সরকার, তৃণমূলের নতুন দাবি কমিশনে জাতীয় রাজ্য August 29, 2018 “দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচার করতে অনেক খরচ হয়। আর সেই খরচ সামলাতে প্রচন্ড বেগ পেতে হয় তৃনমূল কংগ্রেসকে” দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি করে আসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। এবার তাঁর সুরেই নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারের খরচ বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি দেশে এত কালো টাকার বাড়বাড়ন্তে প্রভাব কমাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভোট প্রচারের খরচ সরকারকেই দেওয়ার ব্যাপারে দাবি উঠল নির্বাচন কমিশনারের বৈঠকে। সূত্রের খবর, এদিনের এই বৈঠকে তৃনমূলের পক্ষে সুব্রত বক্সী এবং কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি পাঁচ পাতার চিঠিও পড়ে শোনান। তবে এই প্রচারের খরচের ব্যাপারে সব বিরোধীদল সহমত হলেও সেখানে সায় দিল না বিজেপি। ফলে এই কমিশনের বৈঠকেও ফের বিরোধী মহাজোট বনাম বিজেপির লড়াই স্পষ্ট হয়ে উঠল। এদিকে বেশ কিছুদিন আগেই ভোটে ব্যালটের বদলে ইভিএম-ই আধুনিক উপায় বলে দাবি করেছিল দেশের নির্বাচন কমিশন। এদিন এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির মন থেকে সেই ইভিএমে কারচুপির সন্দেহ দূর করতে লোকসভায় ভিভিপ্যাট যুক্ত ইভিএম ব্যবহার করার আশ্বাসও দেওয়া হয় কমিশনের তরফে। জানা যায়, এই ভিভিপ্যাটের মাধ্যমে ভোটাররা যাকে ভোট দিচ্ছেন, ঠিক তাঁর নামেই ভোট পড়ছে কি না, তা ইভিএমের পাশে রাখা এই মেশিনে সাত সেকেন্ডেই দেখতে পাওয়া যাবে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তবে এত সব সত্তেও বিরোধীদের দাবি, “ব্যালট ব্যবস্থা ফেরত আনা সম্ভব না হলে ভিভিপ্যাট স্লিপের অন্তত ৩০ শতাংশ গোনা হোক।” সূত্রের খবর, এদিনের এই বৈঠকে বিজেপি, কংগ্রেস, এবং তৃণমূলের মতো সাতটি জাতীয় দলের পাশাপাশি ৩৭টি রাজ্যস্তরের রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। সব মিলিয়ে বিরোধীদের দাবি অনুসারে ভোটে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারের খরচ সরকারকেই চালানো এবং ব্যালটের ভূমিকা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন এখন ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -