মুখ্যমন্ত্রী ধর্মঘট নিয়ে কড়া অবস্থান নিলেও ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভাতেই বনধের চেহারা উত্তরবঙ্গে, ক্ষোভ বাড়ছে পর্যটকদের রাজ্য January 5, 2019 গতকাল ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি হিসাবে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ডাকা সভাকে কেন্দ্র করে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) রেল স্টেশন চত্বর। ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হন নিত্য ট্রেনযাত্রীরা। বেশি সমস্যায় পড়েন পাহাড়মুখী পর্যটকরা। তৃণমূলের ডাকা সভার কারণে মুহূর্তেই বনধের চেহারা নেয় নিউ জলপাইগুড়ির রেল স্টেশন চত্বর। জেলা সূত্রের খবর,গতকাল সকাল ১১ টা থেকেই সভার ডাক দিয়েছিল আইএনটিটিইউসি’র দার্জিলিং জেলা কমিটি ও এনজেপি ইউনিট। সভার প্রধান বক্তার ভূমিকায় উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসি’র রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেন ও দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। সভার জন্যে সকাল থেকেই দলীয় পতাকা এবং ব্যানারে সাজিয়ে তোলা হয় এনজেপি স্টেশন চত্বর। সকালের দিকে সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার সব দোকানপাট,হোটেল বন্ধ হতে শুরু করে। সকাল ১০ টার পরই সিটি অটো,পেট্রোল অটো,বেসরকারি বস সহ সব গাড়িই বন্ধ হতে শুরু করে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ফলত সাধারণ মানুষের আশঙ্কাকে সত্যি করে ট্রেন থেকে নেমে গন্তব্যে যাওয়ার জন্যে গাড়ি না পেয়ে সমস্যায় পড়েন ট্রেন যাত্রীরা। যার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায় পদাতিক এক্সপ্রেস স্টেশন চত্বরে ঢুকতেই। রাজধানী সহ একাধিক ট্রেনের যাত্রীদেরও একই অভিজ্ঞতা হয়। ট্রেন থেকে নেমে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য কোনো যান খুঁজে পান না যাত্রীরা। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে অটো,টোটো না পাওয়ায় অনেকে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন। অনেকে আবার স্টেশন চত্বর থেকে কিছুটা হেঁটে গিয়ে গাড়ির দেখা পান। এরকমই এদিনের ভোগান্তির শিকার এক ট্রেন যাত্রী শিলিগুড়ির হায়দরপাড়ার রঞ্জন ঘোষের জানান,রাজনৈতিক সভা করার জন্যে এভাবে ট্রেনযাত্রীদের সমস্যায় ফেলার মানে হয় না কোনো। এদিনের নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন চত্বর অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় সবথেকে বেশি সমস্যার মুখে পড়েন পর্যটকরা। বেশিরভাগ পর্যটকদেরই স্টেশনে নেমে গাড়ি করে সরাসরি পাহাড়ের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু স্টেশনে নেমে কোনো গাড়ির দেখা পায়নি তাঁরা। অপেক্ষা করতে হয় সভা শেষ হওয়ার। বেলা দুটো নাগাদ সভা শেষ হলে গাড়ি ধরতে পারেন তাঁরা। অনেকে আবার স্টেশন চত্বর থেকে অনেকটা হেঁটে বাইরে এসে রিকশ,টোটো ধরেন। স্টেশন চত্বরে দোকানপাট,হোটেল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় ট্রেনযাত্রীদের। ভোগান্তির শিকার এক পর্যটকের জানান, এনজেপি’র মতো এতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশানে এসে এমন সমস্যায় পড়তে হতে পারে,এটা ভাবাই যায় না। উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন তিনি। তবে,আইএনটিটিইউসি’র দার্জিলিং জেলা সভাপতি অরূপরতন ঘোষ জানান,সভার আয়োজন করে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলার কোনো পরিকল্পনা ছিল না তাঁদের। বরং সভার কারণে ট্রেনযাত্রীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন তার জন্যে স্টেশনে বেসরকারি পরিবহন অর্ধেকই বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সকলেই যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখেন সেটা সংগঠনের দোষ নয়। তবে দোকানপাট,হোটেল বন্ধ ছিল কেন এ ব্যাপারে তাঁর কোনো ধারণা নেই বলেই জানালেন তিনি। ট্রেনযাত্রীদের এদিনের এতো ভোগান্তির কথা প্রকাশ্যে এলেও তাঁর কাছে এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আসেনি বলেই দাবী করেন তিনি। আপনার মতামত জানান -