এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের আত্মীয়ের মিল থেকে মিলল চোরাই কাঠ, তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল

হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের আত্মীয়ের মিল থেকে মিলল চোরাই কাঠ, তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল

শাসকদলকে ফের অস্বস্তিতে ফেলে দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ডে জুড়ল তৃণমূলের এক হেভিওয়েটের নাম। তৃণমূল কংগ্রেসের ফালাকাটার বিধায়ক অনিল অধিকারীর ভাইপো কমলেশ অধিকারী ওরফে গোবিন্দ অধিকারীর বিরুদ্ধে কাঠ চোরাই করার অভিযোগ উঠল। গতকাল তাঁর কাঠের মিল থেকে বনদপ্তর বিভাগ প্রচুর চোরাই কাঠ উদ্ধার করে৷

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক হইচই পড়ে যায় গোটা এলাকায়। এদিকে আগামী ৭ জানুয়ারি ফালাকাটাতে সভা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগেই শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব এবং বিধায়ক চাপে পড়ায় ব্যাপক উদ্বেগে পড়ল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। গোটা ঘটনায় শাসকদলের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ভর্ৎসিত হওয়ারও আশঙ্কা করছেন ফালাকাটার বিধায়ক এবং তাঁর ভাইপো।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বনদপ্তরের দলগাঁও রেঞ্জ এবং মাদারিহার রেঞ্জের কর্মীরা ফালাকাটা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পশ্চিম ফালাকাটায় সকাল ১০ টা থেকে বিধায়ক অনিল বাবুর ভাইপোর কাঠের মিলে অভিযান চালিয়ে প্রচুর টাকার চোরাই কাঠ উদ্ধার করে।

বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে,উদ্ধার হওয়া চোরাই সেগুন কাঠের বর্তমান বাজার দর দেড় লক্ষ টাকা কাঠ উদ্ধারের পর বনদপ্তরের কর্মীরা সেই কাঠের মিলটি সিল করে দেয়। এই ঘটনায় খবর ছড়িয়ে পড়তেই শাসকদলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধীরা।

এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা কটাক্ষ করে বলেন,’গোটা তৃণমূল দলটাই চলছে সারদার টাকায়। ফলে তৃণমূলের ফালাকাটা বিধায়কের ভাইপোর কাঠের মিল থেকে চোরাই কাঠ উদ্ধার হবে এ আর নতুন কী? যদিও তৃণমূল নেতাদের কাছে এটা একটা ছোটখাটো ঘটনা।’

এর পাশাপাশি,চোরাই কাঠের ঘটনায় প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবীও জানান তিনি। অন্যদিকে,সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃণালকান্তি রায়,বিধায়ককে এই কাঠ চোরাইয়ের ব্যাপারে সাফাই দেওয়ার দাবী জানান। এবং প্রসঙ্গে এটাও বলেন,দলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে শাসকদল নিশ্চয়ই এই ঘটনার সত্যতা প্রকাশ্যে আনবে।

ওদিকে, এই ইস্যুতে অনিল বাবু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বললেন,আইন আইনের পথেই চলবে। প্রসঙ্গে জানান,কমলেশকে তিনি এ ব্যাপারে বহুবার সতর্ক করেছেন। কিন্তু তাঁর কোনো সতর্কবার্তাই কমলেশকে শোধরাতে পারে নি। একই বক্তব্য বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এবং শাসকদলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মার।

অনিল বাবুকে ‘নিপাট ভদ্রলোক’ বলেই ব্যাখ্যা করে বনমন্ত্রী জানালেন, অনিল বাবুর কোনো আত্মীয় দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত থাকলে তার দায় বিধায়কের থাকতে পারে না। একই সুরে কথা বলে মোহন শর্মাও দাবী করেন,বিধায়ককে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।

পুলিশ সূত্রে আরো জানা গিয়েছে,এখনো এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে আট বছর আগেও একবার কমলেশবাবুর কাঠের মিল বনদপ্তর সিল করে দিলেছিল। এই দুর্নীতিমূলক ঘটনা নিয়ে তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে। এই প্রেক্ষিতে শাসকদলের উপরিমহল কর্তারা এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!