এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বাংলা ভাগের দাবিতে ক্রমশ দ্বিধা-বিভক্ত বিজেপি, বার্লা- সৌমিত্রর পরে নয়া সংযোজন হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ!

বাংলা ভাগের দাবিতে ক্রমশ দ্বিধা-বিভক্ত বিজেপি, বার্লা- সৌমিত্রর পরে নয়া সংযোজন হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   বাংলা ভাগের দাবিতে ক্রমশ চাপ বাড়ছে বিজেপির। রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা কোনোমতেই বাংলা ভাগের দাবিকে সমর্থন করেন না। তবে জণ বারলা থেকে শুরু করে সৌমিত্র খাঁ, একের পর এক সাংসদরা ক্রমাগত নিজেদের স্থানীয় জেলাগুলোকে নিয়ে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলছেন। তবে রাজ্য নেতৃত্বের কড়া বার্তার পর কেউ সেই দাবিতে সীলমোহর দেবেন, না বা এরকম কোনো কথা বলবেন না বলেই মনে করা হয়েছিল।

কিন্তু স্রোতের বিপক্ষে হেঁটে জন বারলা এবং সৌমিত্র খাঁয়ের মন্তব্যকেই সমর্থন করে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবিতে সহমত পোষণ করতে দেখা গেল কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিককে। স্বভাবতই রাজ্য নেতৃত্ব যখন বাংলা ভাগের বিপক্ষে মত পোষণ করছেন, তখন সবকিছু জানা সত্ত্বেও কেন আলাদা রাজ্যের দাবিতে সরব হতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির একের পর এক সাংসদকে! এখন তা নিয়ে ঘরে-বাইরে যথেষ্ট চাপে ভারতীয় জনতা পার্টি।

সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। আর তারপরেই সাংবাদিকদের তরফে জণ বারলা যে মন্তব্য করেছেন, অর্থাৎ উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করা নিয়ে সেই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় হেভিওয়েট এই বিজেপি সাংসদকে। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই কার্যত ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন নিশীথ প্রামানিক। তিনি বলেন , “উত্তরবঙ্গের আদিবাসী থেকে রাজবংশী, এমনকি বাংলা ভাষাভাষী মানুষরা বঞ্চিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমাতৃসুলভ আচারণ করেছেন। আমরা চাই, দক্ষিণবঙ্গের উন্নতি সাধিত হোক। কিন্তু উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা করে নয়। উত্তরবঙ্গের মানুষের আবেগের কথা বলেছেন জন বারলা। প্রশাসনিক জায়গায় থেকে সব কথা বলতে পারছি না। তবে উত্তরবঙ্গের মানুষের আবেগকে আমরা সমর্থন করি।”

একাংশ বলছেন, “প্রশাসনিক জায়গায় থেকে সব কথা বলতে পারছি না” বলে কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করেছেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ। জন বারলা এবং সৌমিত্র খাঁ রাজ্যভাগের পক্ষে মতামত দেওয়ার পরেই বিজেপির রাজ্য নেতাদের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য সমর্থন করা হয় না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই এক্ষেত্রে তিনি যদি আবার সেই মন্তব্যকে সমর্থন করেন বা তার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো কথা বলেন, তাহলে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাকে সতর্ক করে দেওয়া হতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই সেই বিষয়টি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতেই কার্যত ঘুরিয়ে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার স্বপক্ষে মন্তব্য করার জন্য তার বক্তব্যকে সমর্থন করে সাবধানী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গেল কোচবিহারের বিজেপি সাংসদকে। এক্ষেত্রে তৃণমূল সরকারের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে উত্তরবঙ্গের মানুষের আবেগকে সুকৌশলে বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন নিশীথ প্রামানিক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, এর পেছনে মুকুল রায়ের পরিকল্পনা রয়েছে। বিজেপিকে ভাঙ্গার পেছনে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ একের পর এক সাংসদরা এমন করে বাংলা ভাগের পক্ষে মতামত দিচ্ছেন, যা তৃণমূলকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বে পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, তারা রাজ্য ভাগের মন্তব্যকে সমর্থন করেন না। সেদিক থেকে বেছে বেছে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ সাংসদ বলে পরিচিত সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে জন বারলা, আর এবার সেই তালিকায় সংশোধিত হলেন নিশীথ প্রামানিক।

যেখানে ঘুরিয়ে হলেও উত্তরবঙ্গকে ভাগ করার দাবিতে সমর্থন জানাতে দেখা গেল কোচবিহারের বিজেপি সাংসদকে। যার ফলে বিজেপির একের পর এক সাংসদের এই ধরনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অবস্থান স্পষ্ট করার পরেও একের পর এক সাংসদরা কেন এরকম বেলাগাম মন্তব্য করছেন, কেন বিজেপি তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না, এখন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, পশ্চিমবঙ্গ ভাগ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রূপ সামনে চলে আসায় কিভাবে তা সামাল দেয় শীর্ষ নেতৃত্ব, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!