এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > জেলা সভাপতি পদে ইস্তফা দিতে চেয়ে রাজ্যকে চিঠি, তৃণমূল যোগের জল্পনা, ধরাশায়ী বিজেপি!

জেলা সভাপতি পদে ইস্তফা দিতে চেয়ে রাজ্যকে চিঠি, তৃণমূল যোগের জল্পনা, ধরাশায়ী বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই ভাঙ্গনে জেরবার ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। যা হজম করতে যথেষ্ট বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে নিয়ে অস্বস্তি শুরু হতেই ফের নয়া অস্বস্তিতে পড়ে গেল গেরুয়া শিবির। এবার জেলা সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি দিলেন নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অশোক চক্রবর্তী।

স্বাভাবিক ভাবেই এতদিন জেলা সভাপতির দায়িত্বে থাকা অশোকবাবু কেন বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পরেই অন্যান্য বেসুরো নেতা-নেত্রীদের পথে হেঁটে একেবারে জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে রাজ্যকে চিঠি পাঠালেন, তা নিয়ে নানা মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি অশোকবাবু বিজেপি ত্যাগ করতে চলেছেন? আর তাই জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তিনি?

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপির শীর্ষস্তরের একাধিক নেতা, নেত্রীদের দলবদলকে কেন্দ্র করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। বিজেপি নেতা মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে না করতেই উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভাঙ্গন প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

ভবিষ্যতে এরকম আরও অনেক জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে নেতা-নেত্রীরা ঘাসফুল শিবিরের সামিল হবেন বলে দাবি করছে তৃণমূলের একাংশ। আর এরমাঝেই নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতির রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পদত্যাগ পাঠিয়ে দেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সব আসন দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু বিজেপি এই এলাকায় এত ভালো ফলাফল করার পরেও, কেন জেলা সভাপতি পদে ইস্তফা দিতে চাইলেন তিনি? এদিন এই প্রসঙ্গে অশোক চক্রবর্তী বলেন, “দলের বহর বেড়েছে। একজন সাংসদ, পাচজন বিধায়ক, পঞ্চায়েতের একাধিক জনপ্রতিনিধি আছে। এদের একসূত্রে রেখে দলকে পরিচালনা করার জন্য ভালো নেতৃত্বে প্রয়োজন। সেই জন্য দায়িত্ব ছাড়লাম।” তবে একাংশ বলছেন, অশোকবাবুর এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার, তিনি যথেষ্ট অভিমানী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই কারণেই জেলা সভাপতির মত গুরুত্বপূর্ণ পদ ছাড়তে চেয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তার এই চিঠি। অনেকের আবার দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই সংগঠনে কোণঠাসা হয়ে যেতে শুরু করেছিলেন অশোক চক্রবর্তী। তাই আগেভাগেই তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই তিনি পদ ছাড়তে চেয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে নিজের অবস্থান ঠিক রাখার চেষ্টা করলেন। স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে এবার কি অশোক চক্রবর্তী অন্য কোনো দলে যোগদান করতে চলেছেন, সেই বিষয়টি নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। যদিও বা অশোকবাবু সেই জল্পনাকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিয়েছেন।

অশোক চক্রবর্তীর মত গুরুত্বপূর্ণ নেতার এই পদত্যাগ কি তাদের কাছে চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াল না? এদিন এই প্রসঙ্গে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “এই বিষয়টি আমার জানা নেই।” তবে এই ব্যাপারে বিজেপির অন্দরে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, এবং তার ফলেই যে এই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে, সেই ব্যাপারে কিছুটা হলেও সহমত পোষণ করছেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম নেতা বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী।

এদিন তিনি বলেন, “একটু মান-অভিমান হয়েছে। আমি কথা বলেছি। দলের অন্যরাও ওনার সঙ্গে কথা বলেছেন। সমস্ত কিছু মিটে যাবে। উনি জেলা সভাপতি পদে কাজ চালিয়ে যাবেন।” পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, ব্যাপক ক্ষোভ, অভিমান এবং দলের একাংশের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন অশোক চক্রবর্তী। তবে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তিনি তার ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিলেও রাজ্য নেতৃত্ব তা গ্রহণ করবেন কি না, এখন সেটাই লক্ষণীয় বিষয়। সব মিলিয়ে নদীয়া জেলার হেভিওয়েট নেতা অশোক চক্রবর্তীকে নিয়ে এবার বিজেপির চাপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে শুরু করল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!