এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নন্দীগ্রামে ঘরের মেয়ে হিসেবে দেখা দিলেন মমতা, ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা, কটাক্ষ বিরোধীদের!

নন্দীগ্রামে ঘরের মেয়ে হিসেবে দেখা দিলেন মমতা, ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা, কটাক্ষ বিরোধীদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –একসময় নন্দীগ্রামে বৃহত্তর আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল তাকে। পরবর্তী সময়কালে বামেদের সরিয়ে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষমতায় বসার পেছনে নন্দীগ্রামের যে ভূমিকা রয়েছে, তা বলাই যায়। তবে নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী যখন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছিলেন, তখন নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, নন্দীগ্রামকে কেউ মনে রাখেনি। অর্থাৎ তিনি এই কথা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকেই কটাক্ষ করেছিলেন।

যার পরবর্তী সময়কালে সেই শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর তারপরেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন বলে জানিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তৃণমূলের তরফে প্রার্থী, তখন পাল্টা প্রতিপক্ষ শিবির বিজেপির পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

স্বাভাবিকভাবেই নন্দীগ্রামের লড়াই যে জমে উঠবে দুই সতীর্থের মধ্যে, তা বলাই যায়। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের দামামা বেজে যাওয়ার পর নন্দীগ্রামে পা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে একটি জনসভা করে মানুষের মাঝে মিশে যেতে দেখা গেল তাকে। বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে মানুষের সঙ্গে মিশে যেতেন, নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে সেখানে প্রথম পা রাখার পর যেন সেই রকমই ভূমিকায় দেখা গেল তৃণমূল নেত্রীকে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে নন্দীগ্রামের বটতলা মাঠে একটি কর্মীসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন তিনি। এরপর এলাকার একাধিক মন্দিরে পুজো দিয়ে কাসর বাজাতে দেখা যায় তাকে। এদিকে মন্দিরের পাশাপাশি বেশকিছু মাজারে গিয়েও প্রার্থনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এর পরেই হঠাৎ করে মাজার থেকে বেরোনোর সময় একটি চায়ের দোকানে ঢুকে পড়তে দেখা যায় তাকে। যেখানে নিজে হাতে চা তৈরি করে তা পরিবেশন করেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি এলাকার মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতেও দেখা যায় তাকে। অর্থাৎ ঘরের মেয়ে হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করলেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জনসংযোগের পেছনে রয়েছে ভোট রাজনীতি। বয়সে অনুজ হলেও শুভেন্দু অধিকারী যে কিছুটা হলেও তার কাছে ফ্যাক্টর, তা বলাই যায়। তাই নন্দীগ্রামের লড়াই এবার সেয়ানে সেয়ানে হতে চলেছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে নন্দীগ্রামে এসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গেলেন, তা নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন অনেকে‌।

একাংশ বলছেন, কেন এতদিন পর বোধোদয় হল তৃণমূল নেত্রীর! ক্ষমতায় আসার পর কেন এইভাবে নন্দীগ্রামের মানুষের সাথে মিশতে দেখা যায়নি তাকে? আসলে এই সমস্ত কিছুই হচ্ছে ভোটের জন্য। তবে যে যাই বলুন না কেন, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর এবার নন্দীগ্রামে জয়লাভ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তার প্রচার শুরু করে দিলেন, তা বলাই যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!