এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতাকে আচ্ছা মতন টাইট, কাজের কাজ করেই বাংলায় ফিরলেন শুভেন্দু!

মমতাকে আচ্ছা মতন টাইট, কাজের কাজ করেই বাংলায় ফিরলেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন, দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে যা ইচ্ছে তাই বোঝাবেন, আর কেন্দ্র সেটা বুঝে গিয়ে এই রাজ্যের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেবে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দিল্লিতে গিয়ে নাকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে বাংলার প্রাপ্য অর্থ নিয়ে কথা বলেছেন। এক কথায় তিনি তৃণমূলকে আরও বেশি করে চুরি করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। বিরোধীরা অন্তত তেমনটাই বলছে। আর এই পরিস্থিতিতে এই রাজ্যের চুরি, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া সরকার যাতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটা টাকাও না পায়, তার জন্য হয়ত দিল্লিতে গিয়ে আচ্ছা মতন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে টাইট দিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

হঠাৎ করেই রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লি চলে যান শুভেন্দুবাবু। আর তারপর থেকেই গুঞ্জন ছড়ায় যে, তিনি হঠাৎ কেন দিল্লি চলে যাচ্ছেন? যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাওয়ার কথা, তার আগেই তার এই দিল্লি সফর কেন! তবে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে দেশের উপরাষ্ট্রপতি এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছু আলোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপর বাংলায় ফিরে তিনি বুঝিয়ে দেন যে, দিল্লি তিনি এমনি এমনি যাননি। কাজের কাজ করে তবেই তিনি বাংলায় ফিরেছেন। কিন্তু ঠিক কি কাজ করে বাংলায় ফিরলেন শুভেন্দুবাবু? দিল্লিতে গিয়ে তিনি কি এমন বোঝালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের অর্থমন্ত্রীকে? এর ফলে কি বঙ্গ রাজনীতিতে তার কোনো প্রভাব পড়বে?

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লি থেকে বাংলায় ফেরার সাথে সাথেই শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। সকলেই প্রশ্ন করেন যে, আপনি কেন দিল্লি গিয়েছিলেন? আর সেই প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী সংক্ষিপ্ত জবাব দেন। কিন্তু তার এই বক্তব্য স্পষ্ট করে দেয় যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে টাইট দিতেই তিনি দিল্লি গিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “চোর মমতাকে টাইট দিতে দিল্লি গিয়েছিলাম। টাইট দেওয়া হয়ে গিয়েছে।” আর এখানেই প্রশ্ন যে, তাহলে কি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এই পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপারে বড় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী? নাকি বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস যে নাটকটা করছে, তারা যে বলছে, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না, আর তারপর রাজ্যপাল যেভাবে বাংলার সরকারের হয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং রাজ্যকে যাতে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়, সেই ব্যাপারে অনুরোধ করেছেন, তার পাল্টা কেন্দ্র যাতে এই ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ না করে, তার জন্যই কি আবেদন করতে দিল্লি গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী!

অনেকে বলছেন, চোর শব্দটি ব্যবহার করে শুভেন্দুবাবু বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, এই রাজ্য সরকার আবার টাকা পাওয়ার চেষ্টা করেছিল কেন্দ্রের কাছে। হয়ত সেই সব সম্ভাবনাকে তড়িঘড়ি দিল্লিতে গিয়ে আটকে দিয়েছেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কোনোভাবেই যে এই রাজ্যকে আর চুরি করার সুযোগ দেওয়া হবে না, তা কেন্দ্রের কাছে তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের অস্বস্তি আরও একধাপ বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, কেন্দ্রের কাছ থেকে আরও টাকা নিয়ে নিজেদের চুরির রাস্তা প্রশস্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু কেন্দ্র তাদের কোনোভাবেই টাকা দেবে না। শুভেন্দু অধিকারী দিল্লিতে গিয়ে বৈঠক করে এই সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগামী দিনে আরও বিপদের মুখে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মানুষকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে তারা। তাই কি করে এই সরকারকে টাইট দিতে হয়, তা দিল্লিতে গিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামী দিনে আরও বড় বিপদের মুখে পড়বেন চোরেদের মহারানী বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার মাটিতে এখন আন্দোলনের নামে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কথা বলে নতুন নাটক করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা এমন একটা ভাব দেখানোর চেষ্টা করছে, যেন কেন্দ্র এই রাজ্যকে বঞ্চিত করেছে। তাই তৃণমূলের সেই পাতা ফাঁদে পা দিয়ে যাতে কেন্দ্র আর রাজ্যকে টাকা না দেয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই হয়ত দিল্লি গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তিনি যে কাজের কাজটা করে এসেছেন, সেটা বাংলায় ফিরে স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তবে এর পাশাপাশি আরও একটা জল্পনা তৈরি হচ্ছে যে, শুধু কি এটা বলতেই দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা! নাকি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আরও বড় কোনো বিষয়ে টাইট দেওয়ার জন্য তিনি দিল্লিতে সেই ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে এসেছেন! যার প্রভাব আগামী দিনে নিশ্চিতভাবেই পড়বে বঙ্গ রাজনীতিতে, তা নিয়েও ক্রমশ জল্পনা চলছে। তবে দিনের শেষে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, শুভেন্দু অধিকারী যে উদ্দেশ্যে দিল্লি গিয়েছিলেন, তার সেই উদ্দেশ্য 200 শতাংশ সফল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!