এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে পাকিস্তানকে জড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য! শোরগোল ফেললেন হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা

গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে পাকিস্তানকে জড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য! শোরগোল ফেললেন হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা

কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতাদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ নেতা হিসাবে গণ্য হওয়া দ্বিগ্বিজয় সিংয়ের মন্তব্যে এখন রীতিমত সরগরম মধ্যপ্রদেশের রাজনীতি। শুধু মধ্যপ্রদেশের ক্ষেত্রেই নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও দ্বিগ্বিজয় সিংয়ের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমত সরগরম হয়ে উঠেছে। মধ্যপ্রদেশের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি এবং বজরং দলের উপরে অভিযোগ করেন যে, তারা নাকি পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইএর হয়ে কাজ করে।

শুধু তাই নয়, গোরক্ষার নামে তারা ব্যবসা করে। আর এমন মারাত্মক অভিযোগ কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিং করায়, স্বাভাবিকভাবেই সেই মন্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। বলাই বাহুল্য, দ্বিগ্বিজয় সিং, এর আগেও অনেক বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজের পার্টি কংগ্রেসকে বিড়ম্বনায় ফেলেছেন। আর এবার আবার এরকম আরও একটি মন্তব্য করে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে তথা মধ্যপ্রদেশের রাজ্য রাজনীতিতে একেবারে মুখরোচক পরিস্থিতি তৈরি করে ছেড়েছেন।

গত শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ এলাকায় রানা প্রতাপের মূর্তি উদ্বোধন করতে নিয়ে প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এহেন মন্তব্য করেন। আর সেখানে গিয়ে তিনি আরো বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের থেকে অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি সংখ্যক হারে পাকিস্তানি গুপ্তচর হয়ে কাজ করে। তিনি বলেন, “বিজেপি ও বজরং দল আইএসআই সংস্থার কাছ থেকে টাকা নেয় এবং চরবৃত্তি করে। এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখা উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “এক সময় বাবর নিজের উইলে হুমায়ূনকে হয় গরু কাটতে, না হয় মন্দির ভাঙতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ব্রিটিশরা গরু কেটে তাদের সেনাকে খাওয়াতো। উত্তর-পূর্ব ভারতের অনেক মানুষ গরু খায়।” তাছাড়াও এদিনে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আক্রমণ পড়েন। তিনি বলেন, “মোদি সরকারের আমলে ভারতের বেকারত্বের সংখ্যা যেভাবে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা অচিরেই বিপদ ডেকে নিয়ে আসবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর দিগ্বিজয় সিংয়ের এই মন্তব্যের পরে স্বাভাবিকভাবেই সরগরম হয়েছে কংগ্রেস-বিজেপির রাজনৈতিক চাপানউতোর। এদিন দ্বিগ্বিজয় সিংয়ের বক্তব্যের পাল্টা বিজেপি নেতা এবং দীর্ঘদিনের মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, “খবরে থাকার জন্যই এই ধরনের মন্তব্য করছেন দিগ্বিজয় সিংহ। এমনিতেই উনি ও ওনার দলের নেতারা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলেন। আর পাকিস্তানও রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বদরবারে ভারতকে অপদস্থ করার চেষ্টা করে।”

শিবরাজ সিং চৌহান আরও বলেন, “আর বিজেপি এবং আরএসএস দেশপ্রেম সম্পর্কে কথা বলতে গেলে তা গোটা বিশ্ব জানে।” অন্যদিকে দ্বিগ্বিজয় সিংয়ের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বজরং দলের জাতীয় আহ্বায়ক সোহান সোলাঙ্কি। কংগ্রেস নেতাদের মন্তব্যকে রীতিমত ভর্ৎসনা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। ফলে, দিগবিজয় সিংয়ের প্ররোচনামূলক মন্তব্যের জেরে যে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা যে সহজে ছেড়ে দেবে না গেরুয়া শিবির তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।

কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, 2019 সালে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী ভারতীয় জনতা পার্টি এবং তার প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বিদেশনীতির দ্বারা পাকিস্তানকে বিশ্ব দরবারে কোণঠাসা করে ফেলেছেন, তারপরে দিগ্বিজয় সিংয়ের এই মন্তব্য ধোপে টিকবে না। বরং তার এই মন্তব্যের জেরে জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। এখন গোটা পরিস্থিতির উপরে বিজেপি-আরএসএস এবং বজরং দল কিভাবে নজর রাখে বা আইনি সহায়তা গ্রহণ করে – সেটাই দেখার বিষয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!