এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সকালের ছবি রাতেই বদল- দুই বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক শেষে চলে গেলেন বিজেপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে

সকালের ছবি রাতেই বদল- দুই বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক শেষে চলে গেলেন বিজেপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ দিনভর রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে রইল সুনীল এবং বিশ্বজিৎকে ঘিরে। সুনীল সিং এবং বিশ্বজিৎ দাস দুজনেই  বর্তমানে গেরুয়া শিবিরের সম্পদ হয়ে উঠেছেন। ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনের পরে বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং নোয়াপাড়ার বিধায়ক  সুনীল সিং বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। যথারীতি গেরুয়া শিবিরে যোগদান করে এই দুই বিধায়ক বড়সড় ধাক্কা দিয়েছিল তৃণমূলকে সেইসময়। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল এবার চেষ্টায় রয়েছে হারানো বিধায়কদের ফিরিয়ে আনার। সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের জোর যে কিছুটা কমবে তা একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ছবি বদলে দিল গেরুয়া শিবির সন্ধ্যেবেলায়।

পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের দরজা আপাতত বন্ধ। আর সেই সুযোগ নিতেই রাজ্যের শাসক দল যথেষ্ট তৎপর বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার বিধানসভায় তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হন উত্তর বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং। বিশ্বজিত দাসকে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উক্তি এবং আধঘন্টা পরে বিশ্বজিৎ এবং সুনীল সিংয়ের মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ঢুকে দীর্ঘসময় বৈঠক হঠাৎ করেই জল্পনা বাড়িয়ে তোলে। খবর চলে যায় গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও। যথারীতি ডাক পড়ে হেস্টিংস এর অফিসে বিশ্বজিৎ এবং সুনীলের। আর তারপরেই সন্ধ্যাবেলা বিজেপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দেখা গেল এই দুই বিধায়ককে।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে মিটিং করে বেরোনোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে 2 বিধায়কই জানান, উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যাপারে কথা বলতে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ভোট ঘোষণা, তাই নতুন প্রকল্প নিয়ে এখন কোন কথা হবার সুযোগ কম। তাই দলবদলের ইঙ্গিতই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কিন্তু তৃণমূলকে সেই সুযোগ নিতে দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। আর তাই মান-অভিমানের পালা সাঙ্গ করা হলো গেরুয়া শিবিরের হেস্টিংসের অফিসে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বিশ্বজিৎ দাসের ক্ষোভের কারণ হলো বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর বেড়ে চলা দূরত্ব। শান্তনু বিশ্বজিতের সঙ্গে বিরোধিতা করছেন বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।সেক্ষেত্রে বিশ্বজিতের দাবী, লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট না দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর এই নিয়েই দ্বন্দ্বের শুরু। পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভগ্নীপতি সুনীল সিং এর দ্বন্দ্বের কারণ জানা যায়নি। সোমবারের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসক দলের প্রতি বিরোধীদের কটাক্ষ শোনা গেছে প্রবলভাবে।

দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে গিয়ে মীরজাফর হয়ে যাওয়া মানুষদের দলে ফিরিয়ে আনা কতটা নীতিগতভাবে ঠিক তা নিয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে লড়াই জমে উঠেছে বাংলার বুকে। আর এই লড়াই জেতার জন্য মরিয়া রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল। সেক্ষেত্রে এবার গেরুয়া শিবিরকে চাপে ফেলতে তৎপরতা দেখাচ্ছে তৃণমূল শিবির। পাল্টা প্রশ্ন উঠছে, আপাতত 2 বিধায়ককে বুঝিয়ে নিলেও শেষ পর্যন্ত গেরুয়া শিবির 2 বিধায়ক কে আটকে রাখতে পারবে তো?

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!