এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মিমকে কি ভয় পেতে শুরু করেছে তৃণমূল? ওয়েইসির সভার পুলিশি অনুমতি না মিলতেই শুরু তীব্র জল্পনা

মিমকে কি ভয় পেতে শুরু করেছে তৃণমূল? ওয়েইসির সভার পুলিশি অনুমতি না মিলতেই শুরু তীব্র জল্পনা


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গেও তারা প্রার্থী দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল এআইএমআইএম। যার পর থেকেই রাজ্যের শাসকদলের চিন্তা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। কেননা সংখ্যালঘু এই রাজনৈতিক দলটি যদি বাংলায় তাদের প্রার্থী দেয়, তাহলে তৃণমূলের অন্যতম শক্তিশালী ভোটব্যাঙ্ক সংখ্যালঘুদের সমর্থন আড়াআড়ি ভাবে ভাগ হয়ে যেতে পারে। যার ফলে ফায়দা তুলে নিতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আর এই পরিস্থিতিতে শাসকদলের বিভিন্ন নেতাদের গলায় সেই হায়দ্রাবাদের রাজনৈতিক দল এআইএমআইএম সম্পর্কে শোনা গিয়েছিল সতর্কবার্তা। তবে এতদিন বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে কোথাও কোনো সভা করতে গেলে তৃণমূলের পুলিশ প্রশাসন তাতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। কিন্তু এবার হায়দ্রাবাদের এই রাজনৈতিক দলটি সভা করার উদ্যোগ নিলেও, তার অনুমতি দিল না জেলা প্রশাসন। যার ফলে বিশেষজ্ঞদের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, তাহলে কি মিম নামে এই রাজনৈতিক দলটিকে ভয় পেতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস?

আর তাই তারা সভা করার উদ্যোগ নিলেও, তাদেরকে সেই অনুমতি না দিয়ে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে? জানা গেছে, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে মিম তাদের শীর্ষ নেতা আসাদউদ্দিন ওইয়েসিকে মুর্শিদাবাদের নিয়ে সভা করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। যার অঙ্গ হিসেবে শনিবার দুপুরে সাগরদিঘিতে ইনডোর সভা করে যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।

তবে শুক্রবার রাতে এই মিমের নেতাদের থানায় ডেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, অনুমতি ছাড়া সভা করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর তারপরেই বন্ধ হয়ে যায় সেই সভা। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই মিমের সভা আটকানোর জন্য এই ধরনের তৎপরতা দেখে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে মালদা সহ বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই হায়দ্রাবাদের এই রাজনৈতিক দল যদি বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেয়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে তা অবশ্যই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কেননা সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার দাবি জানিয়ে আসছে এই রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাই তারা যদি বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেয়, তাহলে সংখ্যালঘুদের সিংহভাগ সমর্থন তাদের দিকেই যাবে।

যার ফলে তৃণমূল কংগ্রেস এমনিতেই চাপে পড়ে যেতে পারে। আর বিজেপির উত্থানে সেই সংখ্যালঘু ভোট আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে গেলে ভারতীয় জনতা পার্টি অনেক আসনে ফায়দা তুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই পরিস্থিতিতে মিম যাতে খুব একটা বেশি দাগ কাটতে না পারে, তার জন্য মুর্শিদাবাদে তাদের নেতারা সভা করার উদ্যোগ নেওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ধরনের তৎপরতা গ্রহণ করা হল বলে দাবি করছেন একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে মিমের জেলা নেতা আসাদুল শেখ বলেন, “আমরা তো ইনডোর কর্মসূচির জন্য সভা করতে চেয়েছিলাম। তার জন্য আবার অনুমতি লাগে নাকি! তাই স্থানীয় পুলিশকে কিছু জানাইনি। তা সত্ত্বেও পুলিশের শাসানি শুনতে হল।” তবে মিমের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ করা হলেও, তা সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করেছে পুলিশ প্রশাসন। এদিন এই প্রসঙ্গে জঙ্গিপুর জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ” শাসানির অভিযোগ ঠিক নয়। অনুমতি ছাড়া শুধু মিম নয়, কাউকেই সভা করতে দেওয়া হবে না।সেটা মিমের নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে একথা বলা হলেও, বিরোধীরা অবশ্য তা নিয়ে অন্য প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। তাদের দাবি, করোনা মহামারীর সময় যখন সামাজিক দূরত্ব পালন করতে বলা হয়েছিল, তখন তৃণমূলের অনেক নেতারা রাজনীতির ময়দানে নেমেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের আটকানোর কোনো চেষ্টা করা হয়নি। আর যখন করোনা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া গিয়েছে, তখন এই রাজনৈতিক দল ময়দানে নামার সাথে সাথেই ইনডোরে সভা করার প্রস্তুতি নিলেও তাকে আটকানোর চেষ্টা করছে পুলিশ প্রশাসন।

আর তা দেখেই একাংশের কাছে কার্যত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, মিমের এইভাবে বাংলায় আগমনকে খুব একটা ভালো চোখে নিতে পারছে না শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কেননা মিম যদি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে এখন থেকেই লড়াই শুরু করে দেয়, তাহলে সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে তৃণমূলের চিন্তা বাড়তে পারে।

আর আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যদি সংখ্যালঘু ভোট বিভক্ত হয়ে যায় ,তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে বিপুল আসন রক্ষা করা কার্যত অসম্ভব বলেই দাবি করছেন সকলে।  তাই এই পরিস্থিতিতে পুলিশকে দিয়ে অতীতে যেমন বিরোধীদের সভা-সমিতি আটকে দেওয়া হত, ঠিক তেমনই মিমের ক্ষেত্রে একই কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি সমালোচক মহলের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!