প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জাতীয় রাজনীতিতে যখন বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে মারাঠা স্ট্রং ম্যান শরদ পাওয়ারের এনসিপিকে অন্যতম রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ভাবা হচ্ছে, ঠিক সেসময় উল্টো ছবি দেখা গেল জাতীয় রাজনীতিতে। শনিবার আচমকাই শরদ যাদব দেখা করতে পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অফিসে। কার্যত মোদির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে। কার্যত এই সংক্রান্ত একটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি। প্রসঙ্গত, 2024 এ মোদি সরকারকে সরাতে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা উঠেপড়ে লেগেছে। যার মধ্যে আঞ্চলিক দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস অন্যতম।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন দিল্লির পথে। সেখানে প্রয়োজন হবে অন্যান্য মোদি বিরোধী শক্তিগুলির। আর সেই অনুযায়ী কিছুদিন আগেই প্রশান্ত কিশোরকে দেখা গিয়েছিল শরদ পাওয়ারের বাড়িতে দীর্ঘসময়ের বৈঠকে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, 2024 এর পরিকল্পনা করতেই প্রশান্ত কিশোরের আগমন শরদ পাওয়ারের বাড়িতে। অন্যদিকে মারাঠা স্ট্রং ম্যান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী হচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু বুধবার শরদ পাওয়ার নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী হবেন না। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে ইউপি এর সহযোগী শক্তি হিসাবে তৃণমূল চাইছে এই মুহূর্তে ইউপিএর চেয়ারম্যান বদল।

সোনিয়া গান্ধীর জায়গায় তাঁরা শরদ পাওয়ারকে চাইছে। কার্যত এই মুহূর্তে সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসের অবস্থা কিন্তু খুব একটা ভালো নেই। দলের স্থায়ী সভাপতি পর্যন্ত নেই, তার ওপর ব্যাপক অন্তর্দ্বন্দ্ব দলকে দুর্বল করছে। অন্যদিকে শরদ পাওয়ার যদি সভাপতি হন, তাহলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকল্প হিসাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠে আসা কিছুটা হলেও সহজ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জুনের শেষ দিকে শরদ পাওয়ার বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। যদিও সেখানে কংগ্রেসের কাউকে দেখতে পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে আবার প্রশান্ত কিশোরকে কংগ্রেসের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করতে দেখা যায়। তবে শরদ পাওয়ার নিজে জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী শক্তি বা বিকল্প শক্তি গড়ে তুলতে গেলে কংগ্রেস ছাড়া সম্ভব নয়। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, হঠাৎ করে শরদ পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কি প্রয়োজনে দেখা করলেন? যদিও এ প্রসঙ্গে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। আপাতত এই বৈঠক জাতীয় রাজনীতিতে নতুন কোন প্রেক্ষাপট তৈরি করে কিনা, সেটাই এখন লক্ষণীয়।