এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতাকে কে পাত্তা দেয়! দিল্লি যাওয়া বাতিল করতেই বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু!

মমতাকে কে পাত্তা দেয়! দিল্লি যাওয়া বাতিল করতেই বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সবকিছু ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও, হঠাৎ করে তার দিল্লি সফর বাতিল করেছেন। আর তারপর থেকেই অনুপ্রাণিত মিডিয়ারা তা নিয়ে চর্চা শুরু করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন না, যেন কি একটা হয়ে গিয়েছে রাজ্যে, এরকম তাদের খবরের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ হচ্ছে। কিন্তু তারা এই রাজ্যের মহারানীকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতেই পারেন। কিন্তু বিজেপি বা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যান বা না যান, তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন। শুভেন্দু অধিকারী এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর যে দুর্নীতি, তা ফাঁস করে দেওয়ার জন্য এবং কেন্দ্রের কাছে কি করে এই রাজ্যকে টাইট দেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতেই দিল্লি গিয়েছিলেন। তার সেই কাজ হাসিল হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন দিল্লি গেলেন না, তা নিয়ে সাংবাদিকরা সেই শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করতেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গুরুত্ব অনেকটাই কমিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব জায়গায় নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে ভাবার চেষ্টা করেন, শুভেন্দু অধিকারীর কাছে, তার মন্তব্যের কাছে যেন প্রতিমুহূর্তে ফিকে হয়ে যাচ্ছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লি থেকে শুভেন্দু অধিকারী ফিরতেই সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন যে, মুখ্যমন্ত্রী তো দিল্লি যাওয়া বাতিল করলেন, তো আপনি কি বলবেন? সত্যিই এই রাজ্যের সাংবাদিকরাও পারে বটে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের কাছ থেকে এত পরিমাণে অনুপ্রেরণা পাচ্ছে তারা যে, এত ছোটখাটো প্রশ্ন কোথায় কখন করতে হয়, সেই সম্পর্কেও হয়ত তাদের জ্ঞান নেই। আর শুভেন্দু অধিকারীকে যখন সাংবাদিকরা এই প্রশ্ন করেছেন, তখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও জুতসই জবাব দিয়েছেন। তিনিও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, কে, কখন কোথায় যাবেন! তা নিয়ে তার কোনো আগ্রহ নেই। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তারা বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। অর্থাৎ সাংবাদিকরা হয়ত আশা করেছিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে, তার দিল্লিযাত্রা বাতিল করা সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারী দু চার কথা বলবেন। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বুঝিয়ে দিলেন যে, যে মুখ্যমন্ত্রী তার কাছে হারেন, তার কাছে পরাজিত হন প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে, সেই মুখ্যমন্ত্রী কোথায়, কখন যাবেন, তা নিয়ে অন্তত তার মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রতিক্রিয়া দেবে না।

অনেকে বলছেন, বহুদিন পর এরকম বিরোধী দলনেতা দেখছে পশ্চিমবঙ্গ। সেটিং নয়, একেবারে শাসকের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করছেন শুভেন্দু অধিকারী। খুব ভালো লাগলো তো শুভেন্দু বাবুর এই সমস্ত কথা শুনতে? সেই সমস্ত সাংবাদিকদের যারা ভেবেছিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে দু-চারটে কথা বলবেন শুভেন্দু অধিকারী, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ক্রেজ আরও বৃদ্ধি পাবে, তেমনটা কিন্তু করলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি যে কথা বললেন, তাতে বোঝা গেল যে, তার কাছে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব নেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি কোথায় যাবেন, কেন যাবেন, কিভাবে যাবেন, সেই সম্পর্কে বিরোধী দলনেতা অন্তত ভাবার মতো সময় রাখেন না। যার ফলে সাংবাদিকরা যারা অনুপ্রাণিত মিডিয়ার হয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, তাদের মুখ যেমন চুপসে গেল, ঠিক তেমনই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে, তার যে কোনো পদক্ষেপকে যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা খুব একটা ভারী ভাবে দেখেন না, সেটাও স্পষ্ট হয়ে গেল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!