এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > নতুন রিপোর্টে মোদী সরকারের কপালে ভাঁজ, জল্পনা চরমে

নতুন রিপোর্টে মোদী সরকারের কপালে ভাঁজ, জল্পনা চরমে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন তখন থেকেই গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে একটি স্লোগান তৈরি করা হয়েছিল। যেটি হল- আচ্ছে দিন । কিন্তু সময়ের সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিংবা গেরুয়া সরকারকে নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর এবার সেই বিতর্কের রেশ ধরে অস্বস্তির সামনে মোদি সরকার। যে মোদি সরকার একসময় আচ্ছে দিনের কথা বলেছিল, সেই মোদি সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দাবি করা হয়েছে, ভারত এই মুহূর্তে দরিদ্র এবং চরম অসাম্যের দেশ। এবং এই দাবি করা হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাবের পেশ করা বিশ্ব অসাম্য রিপোর্টে।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব দারিদ্র, অর্থনৈতিক অসাম্য এবং লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরী করে এবং প্রকাশ করে। আর সেই রিপোর্টে অন্যান্য অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মতামত রেখেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও এস্থার ডাফলো। এই দুই অর্থনীতিবীদ রিপোর্টে লিখেছেন, বিশ্বের যেসব দেশে অসাম্য চরমে, ভারত তার মধ্যে অন্যতম। কার্যত দাবি করা হয়েছে, ভারতের বেশ কিছু ব্যক্তির ভাঁড়ারে অর্থনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অসাম্য তৈরি হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, 2021 সালের হিসেবে ভারতের এক শতাংশ মানুষের হাতে জাতীয় আয়ের পাঁচ ভাগের এক ভাগ সম্পদ রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি বলা হয়েছে, ভারতের অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং দেশের অর্থনীতির সাম্প্রতিক সংস্কারে 1%  ধনী শ্রেণীর মানুষ সুবিধা পেয়েছে। অথচ ভারতে নিচুস্তরের অর্ধেক মানুষের হাতে দেশের সম্পদের মাত্র 13.1 % রয়েছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে সমীক্ষায়, ভারতের ধনীরা অত্যন্ত ধনী এবং দরিদ্ররা আরও দরিদ্র হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি এই রিপোর্টে বলা হয়েছে ভারতে লিঙ্গ বৈষম্য এই মুহূর্তে চরমে দেখা যাচ্ছে। মোট আয়ে মহিলা শ্রমিক কর্মীদের ভাগ মাত্র 18%, যা গোটা বিশ্বের মধ্যে নিম্নতম।

বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ভারতে করোনা পরিস্থিতি এবং কেন্দ্রের অর্থনৈতিক সংস্কারের জেরে বেসরকারিকরণ দেখা যাচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে আর্থিক বৈষম্য বাড়ছে। যদি এখনই মোদি সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে ভবিষ্যতে ভারতীয় সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য চরম আকার ধারণ করবে বলে দাবি করা হয়েছে। আপাতত দেখার, ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাবের রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন নীতিতে কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারে কিনা!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!