প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক তরজা, মতান্তর, মতভেদ সেই সঙ্গে সংঘর্ষ, মারামারি, খুনাখুনি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে পারস্পরিক বচসা, মারামারি, খুনোখুনি, বোমাবাজি প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতায় উঠে আসছে। একের বিরুদ্ধে অপরের চলছে অভিযোগের পালা, সেইসঙ্গে অভিযোগ খণ্ডনের পালা। এই পরিস্থিতিতে মালদহ জেলায় তৃণমূল সদস্যদের বিরুদ্ধে হঠাৎ আক্রমণের অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলো কংগ্রেস।

স্থানীয় সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মালদহ জেলার রতুয়া ১ ব্লক প্রশাসনের কাছে কংগ্রেস দলের অসংগঠিত শ্রমিক সংগঠনের ব্লক নেতা আব্দুল আজিজ যখন ডেপুটেশন জমা দিতে যাচ্ছিলেন, সেইসময় তৃণমূলের বেশ কিছু দুষ্কৃতী নেতা আব্দুল আজিজ ও তাঁর সঙ্গে থাকা কংগ্রেস কর্মীদের ওপর অকস্মাৎ চড়াও হয়। কংগ্রেস নেতা আব্দুল আজিজ অভিযোগ করেছেন যে, এই সময়ে দুষ্কৃতীদের হাতে ছিল পিস্তল ও ইট। অতর্কিত হামলা চালায় তারা তিনি ও তাঁর সঙ্গে থাকা কংগ্রেস কর্মীদের ওপর। অতর্কিত আক্রমনে আহত হন আব্দুল আজিজ।

কংগ্রেসের অসংগঠিত শ্রমিক সংগঠনের ব্লক নেতার ওপর এই আক্রমণের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ব্লকের কংগ্রেস দলের পর্যবেক্ষক এবং সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানের বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী মালদহ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ” আমাদের কর্মীকে হত্যার চেষ্টা করার জন্য তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক।”

অন্যদিকে গতকাল শুক্রবার এই ঘটনায় আক্রান্ত কংগ্রেস নেতা আব্দুল আজিজ থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় তিনি তৃণমূল নেতা ইয়াসিন সহ আরও ১৩ জন তৃণমূল সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ করে দিলেন এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ইয়াসিন। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ” কংগ্রেসের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই এধরনের মিথ্যা মামলা করে প্রচার পেতে চাইছে। ”

অন্যদিকে এই ঘটনা সম্পর্কে মালদহ জেলা তৃণমূল মুখপাত্র শুভময় বসু বলেছেন যে, মালদহ জেলার রতুয়া ১ ব্লকে বুধবার কি ঘটনা ঘটেছে, তা নিযে তৃণমূল দলে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, গত বুধবারের এই ঘটনা প্রসঙ্গ সম্পর্কে রতুয়া থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই বিষয়ে তারা অভিযোগ পেয়েছেন এবং এই অভিযোগ তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।