এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > ফেলো কড়ি মাখো তেল ! মানুষের জীবন নিয়েও ছেলেখেলা মমতার ? বেহাল দশা রাজ্যের!

ফেলো কড়ি মাখো তেল ! মানুষের জীবন নিয়েও ছেলেখেলা মমতার ? বেহাল দশা রাজ্যের!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এতদিন রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে একটি রেট চার্ট সামনে এসেছিল‌। কিন্তু এবার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতেও দালাল রাজের ঘটনা সামনে চলে এলো। যে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এই দুর্বৃত্তায়নের ঘটনা নিয়ে এখন নানা মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও দীর্ঘদিন ধরেই এই অসুবিধের সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে শুরু হয়েছে টাকার বিনিময়ে রোগী ভর্তি। ইতিমধ্যেই সেই ব্যাপারে সোচ্চার হয়ে তৃণমূলের পর্দাফাঁস করে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, এদিন মদন মিত্রের অভিযোগ নিয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যের সর্বত্র এই দালালরাজ চলছে। মেডিকেল কলেজ বলুন, মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল বলুন, সব জায়গাতেই এই টাকা নিয়ে কান্ডকলাপ চলছে। আমরা পিজিতে ভর্তি করাতে পারি না। আপনি পিজিতে ক্যামেরা নিয়ে একজন সাধারন মানুষকে নিয়ে যান। ভর্তি হলে তারপরে আমাকে এসে বলবেন।” অর্থাৎ একেবারে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে রাজ্যের নামি এসএসকেএম হাসপাতালের কথা তুলে ধরলেন সুকান্তবাবু। তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এটাও উঠে এলো যে, সাংসদ কোটাতেও এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা যায় না। ফলে সাধারণ মানুষ ঠিক কতটা দুরবস্থার মুখে, তা তো বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও কেন নীরব এই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী? এই রাজ্য নাকি এগিয়ে বাংলা হিসেবে গর্ববোধ করে! এই কি তার এগিয়ে বাংলার নমুনা! প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

বিরোধীদের দাবি, রাজ্যে সরকার বলে আর কিছু নেই। এই সরকারের কাজ একটাই, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা, মিথ্যে কেস দিয়ে তাদের জেলে পোড়া। কিন্তু স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যেভাবে ভেঙে পড়ছে, মানুষের চিকিৎসাও যেখানে নেই, সেখানে এই রাজ্যের মানুষ কি করে এই সরকারের ওপর ভরসা রাখবেন! এতদিন চাকরির জন্য টাকা নেওয়ার ভুরি ভুরি অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এবার একেবারে শাসক দলের বিধায়কের মুখে শোনা গেল হাসপাতালেও দালাল চক্রের কথা। বিরোধীরা এই অভিযোগ করলে তো সেই কথায় কান না দিয়ে তাদের পাল্টা আক্রমণ করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু নিজের দলের বিধায়ক যখন এই কথা বলছেন, তখনও কি তাতে গুরুত্ব দেবেন না প্রশাসনিক প্রধান? নাকি সেই বিধায়ককেও ধমক দিয়ে তার মুখ খোলার বিষয়ে বিধিনিষেধ জারি করা হবে তৃণমূলের তরফে?

পর্যবেক্ষকদের মতে, সুকান্ত মজুমদার এসএসকেএমে ভর্তি নিয়ে যে কথা বলেছেন, তা উড়িয়ে দেওয়ার মত নয়। উত্তরবঙ্গ থেকে মানুষ যদি সুচিকিৎসার জন্য এসএসকে এমে আসেন, কঠিন রোগ থাকলে হয়তো হাসপাতালের বাইরে গাছ তলায় থাকতে থাকতেই তার অন্তঃসলিল যাত্রা হয়ে যাবে। কেন রাজ্যের এই বড় মাপের নামি হাসপাতালের এই অবস্থা, সেই প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। এতদিন অনেকেই বলেছিলেন, সেখানে চিকিৎসার নামে ব্যবসা শুরু হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল বিধায়ক এক মেডিকেল কলেজে দালাল চক্রের অভিযোগ করতেই আদৌ হুঁশ ফিরবে রাজ্যের! রাজ্যের তো সব ক্ষেত্রেই কার্যত বারোটা বেজে গিয়েছে। একমাত্র এই স্বাস্থ্যক্ষেত্র ধিক ধিক করে চলছিল। কিন্তু সেখানেও যেভাবে ব্যবসার ভয়ংকর চিত্র সামনে এলো, তাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকেও কি এই সরকার রক্ষা দেবে না? সেখানেও কি তৃণমূলের গ্রাস অব্যাহত থাকবে? রাজ্যের চাপ বাড়িয়ে প্রশ্ন তুলছে সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!