প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শীতলকুচিতে সিআরপিএফের গুলি চালানোর ঘটনায় বারবার বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানালেন, শীতলকুচিতে যে ঘটনা ঘটেছে তা দুঃখজনক, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য আরো বেশি দুঃখজনক। এই ঘটনার জন্য তিনি সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উসকানিকে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান যে, গতকাল শীতলকুচিতে যে ঘটনা ঘটেছে তা দুঃখজনক। নির্বাচনী বুথে অজ্ঞাত পরিচয় মানুষেরা হামলা চালিয়েছিল। সিআরপিএফ এর উপরও হামলা চালানো হয়েছিল। আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালাতে হয়েছে সিআরপিএফকে। যে ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই মৃত্যু দুঃখজনক। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য আরো বেশি দুঃখজনক।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই এলাকাতেই গতকাল সকালে আনন্দ বর্মনকে হত্যা করা হয়েছে, যা করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪ জনকেই শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাচ্ছেন, আনন্দ বর্মনকে জানাননি। তিনি অভিযোগ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেরুকরণের রাজনীতি করছেন। কারণ আনন্দ বর্মন হলেন রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ। যেখান থেকে ভোট পাবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই, তাঁকে তিনি কোন শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান নি।

প্রসঙ্গত, শীতলকুচির জনসভা থেকে কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, দরকার হলে সিআরপিএফকে ঘিরে রাখতে। একদল ঘিরে রাখবে ও অন্য দল ভোট দিতে যাবে। মানুষকে হাতা, খুন্তি নিয়ে খেলার জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানালেন যে, শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই ভাষণ কি এই মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়? এই ঘটনা ছাড়া আর কোথাও অশান্তি হয়নি। এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি করেছেন তিনি।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন যে, একজন নেত্রী তথা দলের সুপ্রিমোর কাছ থেকে এরকম কখনোই আশা করা যায় না। নিরাপত্তা রক্ষীদের কেউ ঘিরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন, তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এই ঘটনা প্রথম শুনেছেন তিনি। তিনি কটাক্ষ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী হয়তো চাইছেন না যে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হোক। আর না হলে রিগিং, ছাপ্পা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনে জয়লাভ করাই তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, বাংলার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। বাংলায় নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলা থেকে অশান্তি চিরতরে দূর হয়ে যাবে।