এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেককে নিয়ে দ্বিমত আদালতের! কোন বেঞ্চ সঠিক? উত্তাল রাজ্য রাজনীতি!

অভিষেককে নিয়ে দ্বিমত আদালতের! কোন বেঞ্চ সঠিক? উত্তাল রাজ্য রাজনীতি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দুই বেঞ্চ দুই রকম কথা বলছে। এক বেঞ্চের পক্ষ থেকে ইডি, সিবিআইকে আরও সক্রিয় হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার রাস্তা অবলম্বন করার কথা বলা হচ্ছে। আবার আর এক বেঞ্চের মুখে শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষাকবচ দিয়ে দিচ্ছেন তারা। ফলে আইন ব্যবস্থার এই দ্বৈত রূপ নিয়ে রীতিমত বিভ্রান্ত একাংশ। আর সেই বিষয় নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এখনই তেমন কোনো কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বলে নির্দেশ দেয় আদালত। আর সেই বিষয় নিয়েই প্রশ্নের উত্তরে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “আদালতের একটি বেঞ্চ বলছে, তদন্ত ঠিকমতো হচ্ছে না। ইডি, সিবিআইকে আরও জোর দিতে বলছে। আবার আর একটি বেঞ্চ রক্ষাকবচ দিয়ে দিচ্ছে। সুতরাং আদালত কি করছে, তা নিয়ে তো সকলেই বিভ্রান্ত। আমি আইন বিশেষজ্ঞ নই। আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। কিন্তু আদালতের দুই বেঞ্চ দুই ধরনের কথা বলার কারণে প্রশ্ন উঠছে।”

একাংশের যুক্তি, সুকান্ত মজুমদার একদম সঠিক ব্যাখ্যাই করেছেন। কারণ আদালত একটাই। আর সেই আদালতে দুই বেঞ্চের দুই ধরনের বিপরীত ধর্মী নির্দেশ সত্যিই সমালোচক মহলের কাছে বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে। যদিও বা আইন সম্পর্কে কথা বলার মত ঔদ্ধত্য কারোরই নেই। আইন ব্যবস্থার ওপর সকলের ভরসা রাখা উচিত।একাংশের মতে, আদালত কখন কি নির্দেশ দেবে, তা সেটা একান্তই আইন বিভাগের নিজস্ব ব্যাপার।

কিন্তু যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে জোর দিতে বলছে আদালত, সেই আদালতের অন্য একটি বেঞ্চ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষাকবচ দিয়ে দিচ্ছে। ফলে দুই বেঞ্চের দুই ধরনের মন্তব্য এবং শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্যজুড়ে। অনেকে বলছেন, আদালত রয়েছে বলেই আজকে দুর্নীতির রহস্য ভেদ হচ্ছে। এই আদালতের জন্যই একের পর এক রাঘববোয়াল চাপে পড়ছেন। তাই তদন্তের কারণে বেঞ্চের মতামত নিয়ে সাময়িক প্রশ্ন উঠলেও, আদালতেই সব রহস্য ফাঁস হবে বলে বিশ্বাস সাধারণ মানুষের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচার ব্যবস্থায় যে পথ দেখিয়েছেন, তা কার্যত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সকলের কাছে। বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে তিনি ভগবান স্বরূপ। তার একের পর এক নির্দেশ দুর্নীতির পাণ্ডাদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। অন্যদিকে যারা দীর্ঘদিন ধরে চাকরি পাওয়ার আশায় পথে বসে আন্দোলন করছেন, তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। তাই সকলেই চাইছেন, এই নিয়োগ দুর্নীতির রহস্য ভেদ করে অভিযুক্তদের শাস্তি। সেদিক থেকে সুকান্ত মজুমদারের এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!