এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কেন্দ্রের এই প্রকল্পেও কাটমানি? মমতা সরকারের কুকীর্তি ফাঁস! অস্বস্তিতে নবান্ন !

কেন্দ্রের এই প্রকল্পেও কাটমানি? মমতা সরকারের কুকীর্তি ফাঁস! অস্বস্তিতে নবান্ন !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্য জুড়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত প্রকল্পে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লি অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও বা তাদের সেই হুশিয়ারিতে কারওর কিছু এসে যায় না। বিজেপি অবশ্য পালটা জানিয়ে দিয়েছে যে, দুর্নীতি হয়েছে, তাই টাকা বন্ধ। তবে এত অভিযোগের পরেও হুশ ফিরছে না তৃণমূল সরকারের। এবার কেন্দ্রের আরও এক বড় প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করলো। যে প্রকল্পটির নাম প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা। রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে এই প্রকল্পেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর সেখানেই প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা নিয়ে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনাতে যে সমস্ত রাস্তা তৈরি হয়, সেখান থেকেও জেলা পরিষদের মাধ্যমে কাটমানি নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার ফলে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ঠিকমতো রাস্তা তৈরি হচ্ছে না।” অর্থাৎ কেন্দ্র টাকা দিলেও এবার সড়ক যোজনার ক্ষেত্রেও রাজ্যের পক্ষ থেকে সেই টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। আর রাজ্য সভাপতির এই মারাত্মক অভিযোগ রীতিমতো তৃনমূলের চাপ আরও বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিরোধীদের দাবি, রাজ্যে রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। রাজ্য সড়ক তৈরিতে কার্যত অপারগ। কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রকল্পে যে টাকা আসছে, সেখানেও তারা কারচুপি করতে ব্যস্ত রয়েছে। যার কারণে মানুষের পরিষেবা ঠিকমতো পৌঁছচ্ছে না। রাস্তার অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হয়ে যাচ্ছে। গরু, কয়লা, বালি, পাথর, শিক্ষক নিয়োগ এতকিছু দুর্নীতির পরেও তৃণমূলের শান্তি নেই। এবার যাতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ভাগ বসানো যায়, সেই কারণে এবার প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার ক্ষেত্রেও এই বিপুল দুর্নীতি। তবে অতীতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে যে সমস্ত জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে, তার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। তাই এবারও কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করলে রাজ্যের মানুষ আশ্বস্ত হবে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই অভিযোগ যদি মিথ্যা হয়, তাহলে তৃণমূল তাকে চ্যালেঞ্জ করুক। নিজেদের তথ্য পেশ করুক। তবে সুকান্তবাবুর অভিযোগ সত্যি হোক বা মিথ্যা, রাজ্যের মানুষের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে যে প্রতিমুহূর্তে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্র রাজ্যের সড়ক ব্যবস্থার অবনতি সামনে আসছে। কিছুদিন আগেই তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নবান্ন থেকে পালিয়ে গিয়েছেন তিনি।

অর্থাৎ বিরোধী দলনেতার জনস্বার্থমূলক বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎ যে সরকারের চিন্তা বাড়াবে, তা বুঝেই স্বরাষ্ট্র সচিবের নবান্ন ত্যাগ বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। আর এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের সড়ক যোজনা প্রকল্পে অর্থ নয়ছয় করে রাজ্য নিজের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিল। কশো দিনের কাজ, আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার সাথে সাথে যেভাবে তাকে দমন করতে অর্থ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, এবারেও যদি তা হয়, তাহলে কিভাবে মুখ দেখাবে রাজ্যের শাসক দল, মানুষের কাছে তারা কি করে নিজেদের উন্নয়নের প্রতীক বলে দাবি করবে? প্রশ্ন তুলছে সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!