এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দুর্নীতি করে কেন্দ্রের ঘাড়ে দোষারোপ? চরম মিথ্যাচার ভাইপোর! ধরে ফেললো বিজেপি!

দুর্নীতি করে কেন্দ্রের ঘাড়ে দোষারোপ? চরম মিথ্যাচার ভাইপোর! ধরে ফেললো বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কিছুদিন আগেই দিল্লির পর বাংলার রাজভবনের সামনে পাঁচ দিন ধরে নাটক করেছে আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতারা। যা দেখে বিরোধীরা বলেছেন, নিজেরা চুরি করেছে, নিজেরা দুর্নীতি করেছে, আবার তারাই কেন্দ্রের কাছে বড় বড় গলায় টাকা চাইছে। আগে হিসেব দেবে, তারপরেই টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। হিসেব না দিলে এক পয়সাও দেওয়া হবে না পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। এক্ষেত্রে মানুষকে বঞ্চনা করা হচ্ছে না। বরঞ্চ মানুষের টাকা যাতে তৃণমূল নেতারা নিজেদের পকেটে ঢোকাতে না পারে, তার জন্যই পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র। বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই যুক্তি বহুবার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তবুও নাছোড়বান্দা বাংলার যুবরাজ। এবার তিনি দেবীপক্ষের দ্বিতীয়ার দিন ডায়মন্ডহারবারের একটি সভা থেকে আবার বড় বড় গলায় দাবি করলেন, যদি কেন্দ্র টাকা না দেয়, তাহলে নাকি সেই টাকা রাজ্যের মানুষকে দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা মাটি মানুষ সরকার। আর অভিষেকবাবুর এই বক্তব্য শুনে বিরোধীরা বলছেন, খুব ভালো কথা তো। তাহলে নিজেরা যে টাকা এতদিন চুরি করেছেন, সেই টাকা সাধারন মানুষকে দিয়ে সাহায্য করুন।

প্রসঙ্গত, এদিন ডায়মন্ড হারবারের সভায় একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে আবার বড় বড় কথা বলতে দেখা যায় বাংলার যুবরাজকে। তিনি বলেন, “যদি কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের টাকা নাও দেয়, তাহলেও আমরা মা মাটি মানুষের সরকার যদি লক্ষীর ভান্ডার দিতে পারি, তাহলে যারা একশো দিনের কাজের টাকা পাননি, তাদেরকেও আমরা টাকা দিয়ে দেব।” একাংশ বলছেন, ভাইপো এবং পিসি মিলে এবার মোক্ষম চাপে পড়েছেন। কারণ তারা খুব ভালোমতো জানেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হিসেব না দিলে কেন্দ্র টাকা দেবে না। আবার মানুষের কাছে নিজেদের জনদরদী হিসেবে প্রমাণ করতে হবে তৃণমূল নেতাদের। তাই কেন্দ্র যখন কোনোভাবেই টাকা দেবে না বুঝে গিয়েছেন আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় নেতা-নেত্রীরা, তখন নিজেদের টাকাই এখন তারা সাধারণ মানুষের কাছে বিলিয়ে দেবেন বলে একটা বড় ভাব দেখাতে শুরু করেছেন। কিন্তু যে টাকা তারা সাধারণ মানুষকে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, সেই টাকা কি তারা ট্যাক থেকে দিচ্ছেন? নাকি মানুষের টাকা চুরি করে সেই টাকা কিছু কিছু করে দিয়ে এবার মানুষের মন ভোলানোর চেষ্টা করবেন শাসকদলের নেতারা? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির।

বিজেপির দাবি, একশো দিনের কাজে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা তো দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। সেই কারণেই তো কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের মুখোমুখি হতে পারছেন না রাজ্যের শাসকদলের মুখ্যমন্ত্রী। কারণ তিনিও খুব ভালো মতো জানেন, তার সরকার হিসাব দিতে পারবে না। আর হিসাব দিলে এই সরকারের দুর্নীতি ধরা পড়ে যাবে। ফলে সাধারণ মানুষের কাছেও স্পষ্ট হয়ে যাবে, তৃণমূল মানুষের টাকা নিয়ে কিভাবে নয়ছয় করেছে। তাই এখন কেন্দ্রের কাছে টাকা চাওয়ার মুখ নেই বুঝেই ভাইপো বড় বড় কথা বলছেন। এমন ভাব দেখাচ্ছেন, যেন তিনি নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে মানুষকে খুশি রাখবেন। আসলে যে টাকা তিনি দেবেন, যদিও বা সেই টাকা তিনি দেবেন কিনা, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন। তা ভবিষ্যতই বলবে‌। তবে যদিও তা দিয়ে সাহায্য করেন, তাহলে তার মধ্যেও দুর্নীতির গন্ধ থাকবে। কারণ তৃণমূল নেতারা এতদিন ধরে যে চুরি করেছেন, সেই চুরির টাকা তাদের ঘরে মজুত রয়েছে। যার কারণেই এবার সেই টাকা দিয়ে তারা মানুষকে লজেন্স খাওয়ানোর মতো ভিক্ষা দিয়ে সিমপ্যাথি আদায়ের চেষ্টা করবেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রথমে দিল্লিতে এবং তারপর রাজভবনের সময় নাটক করার পর কোনোভাবেই পরিস্থিতি গলবে না, এটা জেনে গিয়েছেন যুবরাজ। সেই কারণেই এখন তিনি দয়ালু ভাব দেখানোর চেষ্টা করছেন। এমন একটা ভাব দেখাচ্ছেন, যেন কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের টাকা রেখেছে আটকে রেখেছে। আর কেন্দ্রের যদি টাকা আটকানোর ইচ্ছাই থাকবে, তাহলে কেন্দ্র এর আগেও পশ্চিমবঙ্গে কোনো প্রকল্পে টাকা দিত না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিয়ে দেখেছে, এই রাজ্যের তৃণমূল নেতারা মানুষকে দেওয়ার বদলে তা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছেন। তাই হিসাব না পেলে কেন্দ্র টাকা বন্ধ রাখবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। আর এতেই তৃণমূল নেতারা ছটফট করে জ্বলছেন। তাই আবার নিজের সংসদীয় এলাকায় পুজোর মধ্যে, উৎসবের মধ্যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার চেষ্টা করলেন আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় যুবরাজ। তবে তার এই মিথ্যাচার মানুষ ধরে ফেলছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!