এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে নতুন ‘কোডনেমে’ রাজ্যে অবাধে ঢুকছে আগ্নেয়াস্ত্র, চিন্তায় পুলিশ

বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে নতুন ‘কোডনেমে’ রাজ্যে অবাধে ঢুকছে আগ্নেয়াস্ত্র, চিন্তায় পুলিশ

আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র পাচারের ঘটনা নতুন নয়। এই তালিকায় ইদানিংকালের সংযোজন ‘আগ্নেয়াস্ত্র’। হ্যাঁ, এখন ভারত – বাঙ্গলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে টর্চ, লাঠি, ব্যাটারি ইত্যাদি কোড নামে রাজ্যে অবাধে ঢুকছে আগ্নেয়াস্ত্র। এরপর তা সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলি-সহ সারা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে অবাধে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অবাধে আগ্নেয়াস্ত্রের হাত বদলের জন্যেই এলাকার ছোট গুণ্ডা থেকে বড় ডন সকলের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রের ছড়াছড়ি। নদীয়ার পুলিস সুপার রূপেশ কুমার বলেন, “অস্ত্রের কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাচার আটকাতে আমরা নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছি।”

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে নজিরবিহীন সব তথ্য। জানা গেছে, এই সব অস্ত্রশস্ত্র পাচার হচ্ছে সাদা কাগজে কাঁচা হাতের লেখায় বাজারের ফর্দে। তাতে লেখা থাকছে ছোলার ডাল ৯কেজি, মসুর ডাল ১৬কেজি, মশলা ৬কেজি, বাঁচার লাঠি ১৪টি, ব্যাটারি ৫০টি। ফর্দ দেখে সন্দেহ হওয়ার উপায় নেই। কিন্তু খটকা বাঁধাচ্ছে ‘বাঁচার লাঠি’। সেটা কী জিনিস? হাঁসখালির এক ‘মুদিদোকানি’কে জিজ্ঞাসা করতেই কোড নামের রহস্য উন্মোচিত হলো। দোকানদার জানালেন, ডাল মানে কাশির সিরাপ। ছোলার ডাল মানে ওই সিরাপের বড় শিশি আর মসুর ডাল মানে ছোট শিশি। ওয়ান শাটারকে বলা হচ্ছে বাঁচার লাঠি। ছোট টর্চ হল পিস্তল, বড় টর্চ পাইপগান, মশলা মানে বোমার মশলা। আর ব্যাটারি? উত্তরে তিনি জানালেন, ব্যাটারি মানে গুলি। কারণ, গুলি ছাড়া বন্দুক খেলনার সমান। এদিকে পুলিশ জানাচ্ছে, পাচারকারীরা এই কোড নাম মাঝে মধ্যেই বদল করে। যেমন আগে ব্যাটারির বদলে গুলিকে চমচম, বোমার মশলাকে মিহিদানা নামে লেখা হত। তবে ঘন ঘন কোড বদল হওয়ায় পুলিশ কর্তারাও সব সময়েই সতর্ক থাকেন।

করিমপুর থেকে রানাঘাট পর্যন্ত ২৩৪ কিলোমিটার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। যার মধ্যে বেশ কিছুটা অংশ কাঁটাতার বিহীন। অবশ্য কাঁটাতাঁর যুক্ত অঞ্চলও যে খুব নিরাপদ তা নয়। সেখান দিয়েও অবাধে পাচার কাজ চলে। গোরু, সোনা, রুপো, মাদক দ্রব্যর পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র সবকিছু অবাধে পাচার হয়ে যায় একদেশ থেকে অন্যদেশে। তারপর দ্রুত ছড়িয়ে পরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!