এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফিরহাদ হাকিমের বড় বিপদ! ঘুম উড়বে মমতারও? ভয়ঙ্কর তথ্য দিলেন শুভেন্দু!

ফিরহাদ হাকিমের বড় বিপদ! ঘুম উড়বে মমতারও? ভয়ঙ্কর তথ্য দিলেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে যখন জেরবার গোটা তৃণমূল দল এবং সরকার, ঠিক তখনই সম্প্রতি নতুন এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছে রাজ্যের রেশন বন্টন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন এক চালকলের মালিক বাকিবুর রহমান। আর সেই ব্যক্তি একেবারে শাসকদলের অনেক বড় বড় মাথাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। আগামী দিনে তার সূত্র ধরে আরও অনেকেই ফাঁসবেন বলেই দাবি করেছে বিরোধীরা। তবে এবার বিধানসভায় এক মন্ত্রী এবং হিডকো কর্তার নামে শুভেন্দু অধিকারী যা বললেন, তা মারাত্মক। এ কথা ঠিক যে, এর আগেও যত দুর্নীতি হয়েছে, আর তার পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী যাদের নাম বলেছেন, তাদের ওপর চাপ বেড়েছে। তার মানে এটা নয় যে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার যোগাযোগ রয়েছে! তার অর্থ এটাই যে, শুভেন্দুবাবু এই তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ঘর করেছেন। তাই তিনি শাসকদলের অনেক নেতার গোপন খবর জানেন। আর এবার চালকলের মালিক গ্রেফতার হওয়ার পর সেই বিরোধী দলনেতা এমন একটি কথা বললেন, যা পুজোর মরশুমে এই মনোরম আবহাওয়ার মধ্যেও তৃণমূলের ঘাম ছোটাতে শুরু করেছে। ওয়াকিবহাল মহল অবশ্য তেমনটাই বলছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন বাকিবুর রহমানকে নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ভয়ংকর তথ্য দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “এ তো সরকারের লোক। হিডকো এর সঙ্গে জড়িত। হিডকোর দেবাশিস সেন এবং মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রস্তুত থাকুন। এই বাকিবুর রহমানকে তিনটে প্লট দেওয়া হয়েছে। আমার কাছে সব দুটো মোবাইলে তথ্য রয়েছে।” অনেকে বলতেই পারেন যে, শুভেন্দু অধিকারী খবরের শিরোনামে থাকতেই এই ধরনের কথা বলছেন। অনেকে আবার এটাও বলতে পারেন, মিথ্যে কথা বলছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কুৎসা করতে, অপপ্রচার করতেই তিনি তৃণমূল নেতাদের সম্পর্কে এই ধরনের কথা বলছেন। তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে এই ধরনের কথা মোটেই বলা যায় না, ইত্যাদি, ইত্যাদি। কিন্তু তাতে অবশ্য শুভেন্দুবাবু এবং বিরোধী শিবিরের কিছুই যায় আসে না। তাদের যুক্তি, যদি শুভেন্দুবাবু ভুল বলেই থাকেন, তাহলে আইনের দ্বারস্থ কেন হচ্ছেন না শাসক দলের নেতারা? সততার বুলি আওড়ানো বড় বড় নেতাদের এখন কি গ্যাস বেলুনের হাওয়া বেরিয়ে গেল? এই প্রথম নয়, যেদিন বাকিবুর রহমান গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, সেই সময়ই শুভেন্দু অধিকারী বেশ কিছু তথ্য সামনে এনেছিলেন। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই চালকলের মালিকের ছবিও তিনি প্রকাশ করেছিলেন। ফলে তৃণমূল নেতারা যে রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ভয়ংকর ভাবে ফেঁসে যাবেন, সেই আভাস এদিন আবারও দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

বিজেপির দাবি, যে তদন্তই হোক না কেন, মানুষ চাইছেন সুবিচার। ডাকাডাকি করা, তল্লাশি করার সময় শেষ। এবার গ্রেপ্তারির পালা শুরু হোক। বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একটা বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে আরও অনেকের তথ্য উঠে আসবে। যে আভাস এদিন বিরোধী দলনেতা দিয়েছেন, তা কিছুটা হলেও সত্যি। প্রচুর চাল অবৈধভাবে বিক্রি করা হয়েছে। মিড ডে মিল নিয়েও ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে। তাই সেই সব তথ্য সামনে আসা জরুরি। তাতে যাকে যাকে প্রয়োজন, তাকেই জেরা করতে হবে। আর সেই জেরা ঠিক মত হলে গোটা তৃণমূল দলের অনেক নেতা-মন্ত্রীরা ফেঁসে যাবেন এবং তাদের যাত্রা হবে শ্রীঘর বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কিছুদিন আগেই পৌর নিয়োগ মামলায় ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে তল্লাশি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারপর বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কত বড় বড় কথা বলতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের এই মন্ত্রীকে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, “আমি কি চোর?” তারপর তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে গিয়ে প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ হচ্ছে বলে যুবরাজের মন খুশি করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কারণ তিনিও খুব ভালো মতো জানেন যে, আজকে যদি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তার বিরুদ্ধে কোনো একটা বড় পদক্ষেপ নিয়ে নেয়, তাহলে সব থেকে বেশি খুশি হবেন তার দলের এক সর্বোচ্চ নেতা। কারণ তাকে সাইড করাই এখন সেই যুবনেতার সবথেকে বড় টার্গেট। ফলে ঘরে বাইরে রীতিমতো চাপে রাজ্যের মন্ত্রী এবং কলকাতা পৌরসভার মেয়র। তাই এবার তার নাম করে শুভেন্দু অধিকারী যে তথ্য দিলেন তা যদি সত্যি হয় তাহলে আগামী দিনে বড় বিপদে পড়তে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!