এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনার জেরে কলকাতা পুরসভা নির্বাচন নিয়ে নয়া ভাবনা ,জেনে নিন

করোনার জেরে কলকাতা পুরসভা নির্বাচন নিয়ে নয়া ভাবনা ,জেনে নিন


সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণের হার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীন থেকে যে ভাইরাসের উৎপত্তি, সেই ভাইরাস এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতেও করোনার সংক্রমণ দেখা গেছে। বিভিন্ন রাজ্যের পর পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সংক্রমণের ব্যাপক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই মুহূর্তে করোনা দাঁড়িয়ে আছে স্টেজ থ্রীতে ঢোকার মুখে। গোষ্ঠী সংক্রমণ আটকানো গেলে কিছুটা নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

এই পরিস্থিতিতে এই রাজ্যে পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। করোনা আসার আগে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল, এই এপ্রিল বা মে মাসের মধ্যেই কলকাতা পৌরসভার নির্বাচন শেষ হবে। কিন্তু করোনার উপস্থিতিতে পুরো পরিকল্পনা ঘেঁটে যায়। ইতিমধ্যে সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন পরিস্থিতি। আর তার জেরে পুরসভার নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, কলকাতা পৌরসভার মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। কলকাতা পুরসভার মেয়াদ আগামী চৌঠা মে শেষ হতে চলেছে।

আগের পরিস্থিতি হলে মেয়াদ শেষ হবার আগেই নির্বাচন করে পুরবোর্ড গঠন করা যেত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অন্য। করোনার জেরে এই মুহূর্তে তা আর সম্ভব নয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। যদিও কলকাতা পৌরসভার আইনে প্রশাসক বসানোর নিয়ম এতদিন পর্যন্ত ছিল না। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, আপাতত অর্ডিন্যান্স জারি করেই প্রশাসক বসানো হবে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আইনি জটিলতা কাটানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, অর্ডিন্যান্স জারি করার পর পুরো প্রস্তাবটি পাঠানো হবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের কাছে। যাতে অর্ডিন্যান্সটি আইনে পরিণত হয় তাঁর হস্তক্ষেপে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, রাজ্যের পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্যপালও এই সময় কোন আপত্তি করবেন না। অন্যদিকে সূত্রের খবর, কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে নাম আসতে পারে খলিল আহমেদ এর। যিনি বর্তমানে কলকাতা পৌরসভার পুর কমিশনার হিসেবে রয়েছেন।

অন্যদিকে করোনা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা আবেদন করেছেন করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে না ভুগে সতর্ক থাকার জন্য। একমাত্র সতর্ক থাকলেই করোনার সংক্রমণের হাত থেকে মিলবে মুক্তি। অর্থাৎ এই মুহূর্তে প্রয়োজন অত্যধিক সচেতনতা। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যদি শরীরে করোনা ভাইরাসের বিন্দুমাত্র লক্ষণ ফুটে ওঠে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষাগারে গিয়ে পরীক্ষা করে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। আপাতত সবার লক্ষ্য একটাই- করোনা ভাইরাসের হাত থেকে চিরতরে মুক্তি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!