সাধারণের জন্য বড়সড় পদপক্ষে কেন্দ্রীয় পরিবহণ এবং প্রধান সড়ক মন্ত্রকের জাতীয় April 1, 2020 যত দিন যাচ্ছে, করোনা আতঙ্ক ততই তীব্রতর হয়ে উঠেছে। সামাজিক দূরত্ব বাড়িয়ে দেশে করানো ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে দেশে 21 দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার পর্যন্ত সারাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে 1071 এবং মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছে গেছে 29 এ। যদিও লকডাউন নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সংক্রমণ হয়তো কমানো যাবে, কিন্তু পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করা যাবেনা। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল সরকার। সূত্রের খবর, আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি যেসব লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে সেগুলির মেয়াদ আগামী 30 জুন পর্যন্ত বাড়ানো হল প্রশাসনের হস্তক্ষেপে। ইতিমধ্যে এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় পরিবহণ এবং প্রধান সড়ক মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। তাই যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের ইতিমধ্যে মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাঁরা আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। যে বিবৃতি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যেসব ড্রাইভিং লাইসেন্স পারমিট এবং নথিভুক্তিকরণ এর কাগজপত্রের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত পয়লা ফেব্রুয়ারি, সেগুলি লকডাউন এর কারণে পুনর্বিবেচনা করে আগামী 30 জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিবৃতির ওপর ভিত্তি করে বিস্তারিত তথ্য ও সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত সমস্ত অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - লাইসেন্স রিনিউ করতে গেলে সাধারণত সরকারি দপ্তরে যেতে হয়। 21 দিনের লকডাউনের কারণে ইতিমধ্যে সমস্ত সরকারি দপ্তর এবং পরিবহণ দপ্তর বন্ধ। যার ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই লাইসেন্স মেয়াদ উত্তীর্ণরা পড়েছেন সমস্যায়। তাই তাঁদের সমস্যা দূরীকরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নিয়মের বাইরে যেসব অত্যাবশ্যক পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে তার সঙ্গে যুক্ত ড্রাইভার এবং পরিবহণ কর্মীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গোটা বিশ্বের মতো ভারতেও দ্রুতহারে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। জীবন বাজি রেখে রোগীদের চিকিৎসা করে চলেছেন ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। এবং দেশবাসীকে সর্বতোভাবে সাহায্য করে চলেছেন পুলিশ প্রশাসন। আপাতত ভারত সরকারের প্রথম লক্ষ্য, করোনা পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনা। আর তার জন্য দেশের প্রতিটি মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে অগ্রসর হয়েছেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি। বলা যায়, এই মুহূর্তে অতি সচেতনতাই বাঁচিয়ে দিতে পারে আগামীর দিনগুলি। আপনার মতামত জানান -