এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জেরায় নাকি সময় নষ্ট? টাইম নিয়ে কত সিরিয়াস যুবরাজ! আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট!

জেরায় নাকি সময় নষ্ট? টাইম নিয়ে কত সিরিয়াস যুবরাজ! আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-প্রায় আট ঘন্টার বেশি সময় জেরার মুখোমুখি হয়ে অবশেষে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বাইরে বেরিয়ে এলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই যেমনটা আশা করা গিয়েছিল, তেমনটাই হল। অনেক বড় বড় কথা, যেটা তিনি বলে থাকেন, তেমনটাই বললেন। প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন যে, তাকে ডেকে অযথা সময় নষ্ট করা হচ্ছে। আর এখানেই সকলে প্রশ্ন করছে যে, সময় নিয়ে কতই সচেতন বাংলার যুবরাজ! যখন কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়, সাধারণ মানুষ কাঁদে, তাদের চোখের জলের দাম দেওয়ার জন্য সময় খুঁজে পান না তিনি। আর আজ যখন সেই দুর্নীতির জন্য তাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, তখন তিনি বলছেন, সময় নষ্ট! অর্থাৎ তদন্তকারী সংস্থার পদক্ষেপ যে সঠিক দিকে এগোচ্ছে, আর তার সহ্য করতে না পেরেই যে সেই বিষয়কে “সময় নষ্ট” বলে এড়িয়ে যেতে চাইছেন যুবরাজ, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

প্রসঙ্গত, এদিন ইডির দপ্তরে পৌঁছে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা আট ঘন্টা জেরা করা হয় তাকে। তারপর বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তাকে জেরা করার এই নির্যাস শূন্য। এতে অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে। তার সময় নষ্ট হচ্ছে। যারা জেরা করছেন, তাদের সময় নষ্ট হচ্ছে।” আর অভিষেকবাবুর মুখ থেকে এই কথা শুনে রীতিমতো তাজ্জব একাংশ। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় পড়ে থাকা বেকার যুবকরা যখন সরকারের কাছে সময় চান, তৃণমূল নেতাদের কাছে সময় চান, সুবিচার আশা করেন, তখন সময় দিতে পারেন না, তিনি আবার আজকে সময়ের কথা বলছেন। সত্যি, একেই হয়ত বলে, অদৃষ্টের নিষ্ঠুর পরিহাস।

বিরোধীদের কটাক্ষ, নাটকটা বেশ ভালোই শিখেছেন তৃনমূল নেতা। মানুষের টাকা নিয়ে মানুষকে কাঁদিয়ে আজকে কেউ কেউ আনন্দে রয়েছেন। আর সেখানে যখন তদন্তকারী সংস্থা পদক্ষেপ নেবে, কারওর উপর সন্দেহ হলে তাকে জেরা করবে, তখন কেউ বা কারা বলবেন, এতে নাকি সময় নষ্ট হচ্ছে! তাহলে তারা এই কথা বলে সাধারণ মানুষকে অপমান করছেন! আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দীর্ঘ জেরার মুখে পড়ে একের পর এক প্রশ্নবান যে তাকে কাবু করে দিয়েছে, সেটাও দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই কার্যত আতঙ্কের ছাপ থাকলেও, কোনো রকমে ড্যামেজ কন্ট্রোল দিয়েছেন। যেভাবেই হোক, বিজেপিকে আক্রমণ করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা বলে ময়দান কাঁপানোর চেষ্টা করছেন যুবরাজ বলে দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আজকে টাইম নষ্ট হচ্ছে বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এত বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু তার কাছ থেকে ভবিষ্যতে সময় সম্পর্কে সচেতনতার দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে তো? যে সমস্ত বেকার যুবকরা, শিক্ষিত যুবকরা চাকরির আশায় বসে রয়েছেন, তাদের বয়স তো দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। তাদের চাকরির বয়স তো এভাবেই কোনো একদিন পার হয়ে যাবে। কিন্তু যে দুর্নীতি হয়েছে, তার রহস্য ভেদ করতে গিয়ে যদি এই সমস্ত শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হন, তাহলে তাদের সময় ফিরিয়ে দেবেন তো যুবরাজ? দিনের পর দিন সংসার ছেড়ে ডিএর দাবিতে যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন করছেন, তাদের সময়ের মূল্য দিতে পারবেন তো তথাকথিত জননেতা! প্রশ্ন তুলছে সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!