এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “আমরা দলের বর্তমান বহিরাগত বিধায়ককে মেনে নেব না।” তৃণমূলের অন্দরে এবার ‘বহিরাগত’ তত্ত্বে দ্বন্দ্ব

“আমরা দলের বর্তমান বহিরাগত বিধায়ককে মেনে নেব না।” তৃণমূলের অন্দরে এবার ‘বহিরাগত’ তত্ত্বে দ্বন্দ্ব


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য রাজনীতিতে মুর্শিদাবাদে সুব্রত সাহা পরিচিত নাম। সেখানে তিনি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনীতি করছেন বলে জানা যায়। বস্তুত, এক সময় গনিখান চৌধুরীর অত্যন্ত স্নেহধন্য ছিলেন তিনি। পরে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে অতীশ সিংহের মৃত্যু হলে দলের জেলা সভাপতি করা হয় তাঁকে।

সেই সূত্রেই ২০১১ সালে সাগরদিঘিতে তৃণমূল প্রার্থী হয়ে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে জেলায় দলের একমাত্র বিধায়ক হন তিনি। সেইসঙ্গে দায়িত্ব পান প্রতিমন্ত্রীর। তারপরে অবশ্য মন্ত্রিত্ব হারানো থেকে শুরু করে দলের মধ্যে তাঁকে ঘিরে চলতে থাকা ঘরোয়া কোন্দল প্রায় সকলেরই জানা। যার পরিণতিই তাঁকে বার বার সমস্যায় ফেলেছে সাগরদিঘিতে।

তবে বিধায়ক হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগ থাকলেও সাগরদিঘিতে তার জনসংযোগ ভালই বলে জানা গেছে। সেখানে তাঁর অনুগত ব্লক সভাপতি নুরজামাল শেখের বিরুদ্ধেও কোনও দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ শোনা যায়নি।তাই এবারে তিনি “হারবেন” বলে বিরোধীরা ও অন্তর্দলীয় রাজনীতিতে শোরগোল শুনতে পাওয়া গেলেও সাগরদিঘিতে তিনি নিশ্চিন্ত বলেই দাবি করেছেন।

সেখানে সম্প্রতি দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে এসেও সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, “সাগরদিঘি তৃণমূলের আছে, তৃণমূলেরই থাকবে। মিলিয়ে নেবেন।” যদিও এবারের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হিসেব অন্য কথা বলেছে বলেই জানা গেছে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৬ সালে সাগরদিঘিতে কোনওরকমে মুখ রক্ষা করেছিল তৃণমূল। সেখানে জয়ী হয়েছিলেন সুব্রত সাহা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও সেই সময়ই তৃণমূলের তৎকালীন পঞ্চায়েত সমিতি ও প্রধানেরা প্রকাশ্যে সুব্রতবাবুর বিরোধিতা করেছিলেন। সেইসঙ্গেদলেরই এক পঞ্চায়েত প্রধানকে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে কংগ্রেস আর সিপিএমের বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের খেসারত দিতে হয়েছিল জোটকে। তবে এবার সাগরদিঘিতে বিরোধী কংগ্রেস ও সিপিএম জোট অনেকটাই সংযত বলে জানা গেছে।

সেখানে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জ্যোতিরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবারে জোটের প্রার্থী হবেন একজন। দুই দলের নেতৃত্ব একমত হয়ে যাকে প্রার্থী করবেন তাকেই মেনে নেওয়া হবে। সেইসঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের পুনরাবৃত্তি যে এবার আর হবে না, সেই কথাও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তৃণমূলের অন্দরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবারেও বদলায়নি বলেই জানা গেছে।

সেখানে, তৃণমূলের নতুন পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠরা এবারও দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। সেখানে তাঁরা প্রকাশ্যেই সাগরদিঘিতে ভূমিপুত্র প্রার্থী চাই বলে দাবি করেছেন বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বেরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, “আমরা দলের বর্তমান বহিরাগত বিধায়ককে মেনে নেব না।”

তাঁর কথায়, “৮০ শতাংশ পঞ্চায়েত সদস্য একজোট হয়ে দাবি করেছেন যে, তৃণমূল সাগরদিঘির যে কোনো বাসিন্দাকে প্রার্থী করুক। কিন্তু কোনওমতেই সাগরদিঘির বাইরের কাউকে মেনে নেব না আমরা।” সেইসঙ্গে সুব্রতবাবুকে প্রার্থী করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মানব না। আলাদা প্রার্থী দেব কি না, ঠিক নেই।” কিন্তু দলের বর্তমান বিধায়ককে হারাবার জন্য যতদূর যেতে হয় যাবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!