এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ হলেই ঠ্যালা বুঝবেন মমতা! চরম হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর!

লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ হলেই ঠ্যালা বুঝবেন মমতা! চরম হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আবার নতুন ফাঁদ পাততে চলেছেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছেন তিনি। আর সেই কারণে একটা বিভ্রান্তিকর কথা বলে সিএএর ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের জন্য কেউ আবেদন করলে তার নাকি সরকারি পরিষেবা থেকে নাম বাদ হয়ে যাবে! এরকম কথা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন। তিনি প্রকাশ্য সভা থেকে নাকি এটাও বলেছেন যে, তার সরকার লক্ষীর ভান্ডার থেকে শুরু করে মানুষের সুবিধার জন্য যে সমস্ত প্রকল্প করেছে, সিএএতে আবেদন করলেই সেই প্রকল্প থেকে সবার নাম বাতিল হয়ে যাবে। আর সেই বিষয় নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর মিথ্যাচারের পর্দাফাঁস করে দিয়ে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যার ফলে প্রমাণ হয়ে গেল যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র ভোটের জন্য মানুষকে ভয় দেখানোর কাজ করছেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূল যাতে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফল করে, তার জন্যই তার এই প্রাণপণ চেষ্টা। আর যদি নাগরিকত্বের জন্য কেউ সিএএতে আবেদন করে, আর তারপর যদি সরকারের কোনো প্রকল্প থেকে তার নাম বাদ হয়ে যায়, তাহলে তার কি ফলাফল হতে পারে, সেই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে গাড্ডায় ফেলে দিয়ে সোচ্চার হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন রানাঘাটের সভা থেকে এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে করা ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এই মুখ্যমন্ত্রী চরম মিথ্যাচারী। তিনি বলছেন সিএএতে আবেদন করলে নাকি সব প্রকল্প থেকে নাম বাদ হয়ে যাবে। লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। আমি বলছি, একটা লক্ষ্মীর ভান্ডারের মায়ের গায়ে হাত দিয়ে দেখুন! এটা কি মমতা ব্যানার্জির পৈত্রিক সম্পত্তির টাকা নাকি! মানুষের ট্যাক্সের টাকা। কাউকে বাদ দিতে পারবেন না।” অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও জানেন, তিনি সরকারি প্রকল্প থেকে কারওর নাম বাদ দিতে পারবেন না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন। মানুষের কাছে প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা করছেন যে, কেন্দ্র যে কাজ করছে, ভুল করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র যে আইন লাগু করেছে, তার ফলে একজনেরও নাগরিকত্ব যায়নি। আর এটা সংখ্যালঘুরাও বুঝতে শুরু করেছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন এই সিএএকে সামনে রেখে তাদের ভয় দেখিয়েছিলেন। বিজেপির বিরুদ্ধে যাতে তারা আন্দোলন করেন, সেই চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেটা আর কাজে দিচ্ছে না জন্যেই এখন অন্য একটা ইস্যু দিয়ে মানুষের মনে বিজেপির সম্পর্কে ভয় স্থাপনের চেষ্টা করছেন। তবে সেই সমস্ত কিছু করলে তার ফলাফল কি হতে পারে! তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু প্রচারের হাওয়া নিজের দিকে নিয়ে নিলেন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের একটা আইনের বিরুদ্ধে কি করে মানুষকে ভুল বোঝাতে পারেন? চেয়ারে বসে তিনি কি করে বলতে পারেন যে, সিএএতে আবেদন করলে সরকারি প্রকল্প থেকে তার নাম বাতিল হয়ে যাবে। আসলে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক, সব দিক থেকেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চরম ব্যর্থ, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে আর এই রাজ্যে তৃণমূলের নাম নিশান কিছুই থাকবে না। তাই সেসব বুঝতে পেরেই মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা। তবে শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। তিনি যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেপে ধরলেন, তাতে এই রাজ্যের শাসক দলের ভিড়মি খাওয়ার জোগাড়। এখন হয়ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিন্তা করবেন যে, কেন তিনি এই ধরনের কথা বলতে গেলেন! এই ধরনের কথা বলতে গিয়ে উল্টে যে করুন ফলাফল তার সঙ্গে হলো, তার খেসারত তিনি দেবেন কি করে? দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!