এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মোদী ভার্সেস মমতা, স্বাধীনতার 75 তম বর্ষ উদযাপন নিয়ে আরেকবার লড়াইয়ের আবহ

মোদী ভার্সেস মমতা, স্বাধীনতার 75 তম বর্ষ উদযাপন নিয়ে আরেকবার লড়াইয়ের আবহ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মোদী ভার্সেস মমতার দ্বন্দ্ব আরো একবার সামনে এল। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার 75 বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি শুধুমাত্র শ্রোতা হিসেবে ছিলেন। আর এখানেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী আজকে নবান্ন সভাঘরে। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে বিদ্বজ্জন ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি রাজ্যের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার 75 বছর পূর্তি উপলক্ষে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জয় গোস্বামী, সুরঞ্জন দাস, নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ী, অজয় চক্রবর্তী, সুবোধ সরকারের মতন বিদ্বজ্জনেরা।

পাশাপাশি হাজির ছিলেন ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ একাধিক মন্ত্রী। এই বৈঠকে রাজ্যের বিদ্দ্বজনেদের বিভিন্ন প্রস্তাব রাজ্য সরকার গ্রহণ করে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেন, যেমন- মহাত্মা গান্ধীর নামে তমলুক বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাধীনতা আন্দোলন সংক্রান্ত সমস্ত নথি ডিজিটাইজেশন প্রমুখ। পাশাপাশি তাম্রলিপ্ত সরকার প্রতিষ্ঠাকে মাথায় রেখেও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবে রাজ্য সরকার বলে জানা গিয়েছে। তবে এত সব প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওঠে বুধবারের কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকের প্রসঙ্গ। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভারত সরকার যেভাবে ইচ্ছে স্বাধীনতার 75 বছর পালন করুক। কিন্তু বাংলা নিজের মতন করে করবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং সেই কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন, ঋষি অরবিন্দকে নিয়ে রাজ্য সরকার কি কি করতে উদ্যোগী হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ দিল্লি পাঠাতে। প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিছক শ্রোতা হিসেবে রাখা মেনে নিতে পারেননি নবান্নে উপস্থিত বিদ্বজ্জনেরা। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই প্রতিবাদ করে ওঠেন। নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যবহারের। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগী আদিত্যনাথ, অশোক গেহলট, জগনমোহন রেড্ডি সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু বুধবার তিনি কোন কথা বলার সুযোগ পাননি। আর সেই কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা স্বাধীনতার 75 তম বর্ষ উদযাপনের ক্ষেত্রে আগাম প্রস্তুতি বৈঠকে তিনি আর থাকবেন না। একইসাথে কড়া ভাষায় জানিয়েছেন, তাঁর সাথে রাজনীতি করা উচিত নয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, স্বাধীনতা দিবস পালন নিয়েও রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে দূরত্ব রয়ে গেছে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বুধবারের ঘটনার সঙ্গে ভিক্টোরিয়ার ঘটনার তুলনা করেছেন। তবে সব মিলিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর যে বৃদ্ধি পেল সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!