এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাজ্যে এনআরসির আতঙ্কে কেউ মারা গেলে দায় কার, জানালেন দিলীপ ঘোষ

রাজ্যে এনআরসির আতঙ্কে কেউ মারা গেলে দায় কার, জানালেন দিলীপ ঘোষ

রাজ্যে এনআরসি আতঙ্কে লেগেছে হুড়োহুড়ি। প্রত্যেকেই ভুগছে জমি বাড়ি হারানোর আতঙ্কে। সরকারি অফিসের বাইরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে লম্বা লাইন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কি সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবার ? কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কি এনআরসি প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের জন্য সীলমোহর লাগিয়েছেন? সে খবর কেউ জানেনা। কিন্তু অসমের হাওয়া লেগে গেছে পশ্চিমবঙ্গে। সবাই ভাবতে শুরু করেছে অসমের পর এবার পশ্চিমবঙ্গের পালা।

শুধুমাত্র জল্পনার আতঙ্কে ভুগেই মানুষের স্থির বিশ্বাস হয়ে গেছে, বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গের এনআরসি আনতে চলেছে। এবং তাতে প্রচুর লোক ভিটেমাটি হারাবে। এ তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুল, তা জানালেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্য বিজেপি শিবির থেকে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হওয়া নিয়ে যে সমস্ত ভুলভাল সংবাদ ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আর এই এনআরসি নিয়ে ভুলভাল প্রচারের দায়িত্বে আছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলে অভিযোগ জানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এদিন তিনি পরিষ্কার করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার দাবি জানালেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, রাজ্যে এনআরসি আতঙ্ক ছড়ানোর কাণ্ডারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই এনআরসি আতংকে যদি কেউ আত্মহত্যা করে বা অন্য কোন দুর্ঘটনা ঘটায় তাহলে তার দায় কে নেবে ?

এদিন বিজেপি সভাপতি শিলিগুড়ি থেকে আরো জানান, প্রথম দিন থেকেই এনআরসি নিয়ে রাজ্যে তৃণমূল, বিজেপির বিরোধিতা করে গেছে। বিজেপি আক্রমণের ফলায় ধার দিয়ে তৃণমূল সিঁথি থেকে শ্যামবাজার মিছিল পর্যন্ত করেছে। আদৌ এনআরসি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এখনো পর্যন্ত কিছু হয়নি বা বিজেপিও কোন মিটিং মিছিল করেনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমাগত মানুষকে এনআরসি নিয়ে ভয় দেখিয়ে চলেছেন এবং প্ররোচনা দিয়ে যাচ্ছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনায় পা দিয়ে যদি পশ্চিমবঙ্গের কোন নাগরিক আত্মহত্যা করে বা কোন দুর্ঘটনা ঘটায়, তাহলে সে দায়িত্ব শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর। অতএব আগে থেকেই তার নামে এফ আই আর করে রাখা উচিত বলে জানান তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এনজিপি স্টেশনে নেমে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, অসমে এনআরসি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। বিজেপি সরকারের সে জায়গায় কোন পদক্ষেপ ছিলনা। কিন্তু অসমে এনআরসির ফলে 11 লক্ষ হিন্দুর নাম বাদ যাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, এনআরসির এই ত্রুটিপূর্ণ বিষয়টি এখন সুপ্রিমকোর্টের তত্ত্বাবধানে। সুপ্রিম কোর্ট ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছে এবং এ বিষয়ে সংশোধনের কথাও ভাবা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নাগরিকপঞ্জি তালিকায় যাদের নাম থাকবে না, তাদেরকে ‘বিদেশি’ বলা যাবে না। অথবা ‘দেশান্তর’ করাও যাবেনা। কিন্তু এনআরসি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত এই ধরনের গুজব ছড়ানোর কি কারণ তা নিয়ে ধন্দে বিজেপি শিবির। তবে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি যে হবে, সে বিষয়ে আগে থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইঙ্গিত দিয়ে আসছেন।

বিজেপির দাবি, এনআরসির ফলে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হবে। অনুপ্রবেশের ফলেই পশ্চিমবঙ্গে নানান দুষ্কৃতী প্রতিনিয়ত ঢুকছে। বিরোধীদলের আরও দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুপ্রবেশের ফলে আগত ভোটব্যাঙ্ক এর উপর ভিত্তি করেই ভোটযুদ্ধ জিতে চলেছে। এনআরসির ফলে তাদের ভোটব্যাংকে পর্বে টান পড়বে, তাই শাসক সরকার এনআরসির বিরুদ্ধে এত তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত শাসক দলের তরফে কোন প্রতুত্তর পাওয়া যায়নি। তবে এনআরসি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে চলেছে সেদিকেই নজর এখন তামাম রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!