এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ৩৫৫ নিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে সহমত নন দিলীপ! দুই নেতার ভিন্নমত নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত পদ্ম শিবির!

৩৫৫ নিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে সহমত নন দিলীপ! দুই নেতার ভিন্নমত নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত পদ্ম শিবির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাস এবং ছাপ্পা হওয়ার পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, অবিলম্বে এখানে ৩৫৫ ধারা জারি করা হোক। এমনকি পুলিশ সরিয়ে নেওয়া হলে তৃণমূল সরকার বেশিদিন থাকতে পারবে না বলেও আক্রমণ ছাড়িয়েছেন তিনি। এমনকি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও নিজের এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তবে শুভেন্দুবাবু যখন এই ধরনের বক্তব্য রাখছেন, তখন কি সেই ইস্যুতে তার বিপক্ষে হাঁটলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ! যেখানে গণতান্ত্রিক উপায়ে এই সরকার এসেছে, তাই গণতান্ত্রিক উপায়েই তাদেরকে সরানো উচিত বলে মন্তব্য করতে দেখা গেল দিলীপবাবুকে। যার ফলে শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দিলীপবাবুর মতানৈক্য আবার প্রকাশ্যে চলে এলো বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, 355 ধারা জারি করা নিয়ে যখন ক্রমাগত দাবি তুলছেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার, ঠিক তখনই রাজ্যপাল পৌঁছে গিয়েছেন দিল্লিতে। যেখানে অমিত শাহের সঙ্গে বাংলার ভোটকে কেন্দ্র করে হিংসার রিপোর্ট তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে তার। আর এই পরিস্থিতিতে সেই 355 ধারা জারি করা নিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে একটি প্রশ্ন করা হয়।

আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। চারিদিকে হিংসার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। একটা নির্বাচন ঠিকমতো হয় না। তবে গণতান্ত্রিক উপায়ে এই সরকার এসেছে, তাই গণতান্ত্রিক উপায়েই তাদেরকে বিদায় জানানো উচিত। কিন্তু ততদিন এই সরকার থাকলে তো সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।”

তবে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদাররা যখন রাজ্যের পুলিশ কেন্দ্রের অধীনে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন, তখন দিলীপ ঘোষ গণতান্ত্রিক উপায়েই এই সরকারকে বিদায় জানানোর কথা বলছেন। যার ফলে বিজেপি 355 ধারা জারি করার ইস্যুতে দুই মেরুতে বিভক্ত হয়ে গেল বলেই মনে করছেন অনেকে। আবার অনেকে বলছেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনোভাবেই গায়ের জোরে সরকার ফেলার পক্ষে নয়। তাই সময় নিয়ে তৃণমূলকে রাজনৈতিকভাবে কাবু করতে চায় গেরুয়া শিবির।

তবে বেশি সময় দিলে রাজ্যকে শেষ করে দিতে পারে বর্তমান শাসক দল বলে অভিযোগ বিজেপির একাংশের। তাই অনেকে আবার তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বাংলার বিরুদ্ধে ভয়ংকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশা করছেন। তবে এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য বিজেপির দুই শিবিরের ভিন্ন মতকে সামনে এনে দিল বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!