এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যপালের ডাকে রাজভবনে গিয়ে একরাশ বিস্ফোরক তথ্য তুলে দিলেন শঙ্কু, অস্বস্তিতে একাধিক?

রাজ্যপালের ডাকে রাজভবনে গিয়ে একরাশ বিস্ফোরক তথ্য তুলে দিলেন শঙ্কু, অস্বস্তিতে একাধিক?


বর্তমানে রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল যাদবপুরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র হেনস্থার ঘটনা নিয়ে। একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কলেজ পড়ুয়াদের এই ব্যবহার যে কিছুতেই মেনে নেবেন না বিজেপি নেতৃত্ত্ব – তা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপে স্পষ্ট। অন্যদিকে, সেদিনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকায় রাজ্যপালও যে চূড়ান্ত ভাবে ক্ষুব্ধ – তাঁর বিভিন্ন পদক্ষেপ ও বক্তব্যে স্পষ্ট।

রাজ্য সরকার বা শাসকদল তৃণমূলের তরফে শিক্ষামন্ত্রী তথা দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলেও বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। তবে, রাজ্যপাল যে এই নিয়ে নিজের মত করেই সংবিধান মেনে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন – তা তাঁর পাল্টা কড়া বিবৃতি প্রকাশেই স্পষ্ট। আর, যাদবপুর নিয়ে রাজ্যপালের কড়া অবস্থানের অঙ্গ হিসাবে গতকাল তিনি বিজেপি যুবনেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাকে রাজভবনে ডেকে পাঠান।

সেখানে, এক প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে, একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সহ বিভিন্ন তথ্য প্রমান জমা দিয়েছেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। আর তার ভিত্তিতে স্বয়ং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সহ একাধিক অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শঙ্কুদেব পণ্ডা, অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, যাদবপুরের অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়ী সহ অন্যান্যরা। আর সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনেন তাঁরা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, যাদবপুরে কিছুদিন আগেই একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে (‘হোক কলরব’ প্রতিবাদ) অধ্যাপক বিমলশঙ্কর নন্দ ও রাজ্য সরকারের মামলায় আদালতের স্পষ্ট রায় আছে, যাদবপুরের গেটে পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করতে হবে। এমনকি, যাদবপুরের ভেতরেও পুলিশি প্রহরা থাকতে হবে – যাতে বহিরাগতদের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন বিঘ্নিত না হয়। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকেও সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, বাস্তবে এর কিছুই করা হয় নি – কার স্বার্থ চরিতার্থ করতে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শঙ্কুদেবের আরও অভিযোগ, সেদিন যে বাবুল সুপ্রিয় যাদবপুরে অনুষ্ঠান করবেন তাঁর ‘পারমিশন’ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ৭ দিন আগেই করানো হয়। যা নিয়ে জুটার অধ্যাপকরা আটকানোর চেষ্টাও করেন। অর্থাৎ, সেদিনের বাবুল সুপ্রিয়র অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে সবাই সবটা জানত। আর তা জেনেই, কার্যত তাঁকে হত্যার ছক করা হয়! নাহলে সেখানে গুলি চালিয়ে কোনো ছাত্র হত্যা করে – তা নিয়ে রাজনীতি করার পরিকল্পনা ছিল! অথচ হাইকোর্টের নির্দেশ মত – সেখানে পুলিশ থাকলে এসবের কিছুই হত না। তাহলে এর দায় কার?

শঙ্কুদেবের দাবি, হয় প্রশাসন তার ব্যর্থতা মেনে নিক – যে আগাম খবর সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে তারা ব্যর্থ! নাহলে, স্বীকার করে নিক, সেদিন এক নোংরা রাজনীতি করতেই এইসব করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেছেন, যাদবপুরে নাকি সব কিছু স্বাভাবিক আছে। অথচ, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকা অধ্যাপক ইমনকল্যান লাহিড়ী, অডিও-ভিসুয়াল প্রেজেন্টেশন দিয়ে রাজ্যপালকে জানিয়েছেন, কিভাবে যাদবপুরে অধ্যাপকরা আতঙ্কে আছেন। কিভাবে প্রতিবাদী অধ্যাপকদের ক্লাস নিতে দেওয়া হচ্ছে না বা তাঁদের লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে, অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, যাদবপুরে কি সুপার এমার্জেন্সি চলছে – যে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না? শঙ্কুদেব জানান, যদি কলকাতা বা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পুলিশ থাকতে পারে, তাহলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কেন নয়? যেখানে বিশেষ করে আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে? কাদের আড়াল করতে চাইছে প্রশাসন? একইসঙ্গে তিনি জানান, আরও কিছু গোপন তথ্য তিনি রাজ্যপালকে দিয়ে এসেছেন, যা এখনই তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানাতে চান না।

পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, আগামীকাল তিনি আদালত অবমাননার দায়ে একটি মামলা করতে চলেছেন। তাতে, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন যাদবপুরকে সুরক্ষিত করা হয় নি – সেই প্রশ্ন তোলা হবে। আর, তার পিছনে যে প্রভাবশালীরই হাত থাকুক না কেন – তা বার করতে অনুরোধ করা হবে। এছাড়াও নাকি, যাদবপুরের বহু অধ্যাপক নিজেরা পিএইচডি না হয়েও, ছাত্রদের পিএইচডি করে চলেছেন – বা, বিভিন্ন প্রজেক্ট হাতে নিয়ে সেগুলোতে কাজ না করে দিনের পর দিন ফেলে রেখেছেন। সেগুলিও নাকি আগামীদিনে টেনে বের করে সাধারনের সামনে তুলে ধরবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। ফলে, শঙ্কুদেবের এইসব পদক্ষেপের পরে কি অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী সহ একাধিক হেভিওয়েট – জল্পনা সর্বস্তরে।

https://www.youtube.com/watch?v=Wx9e5ar6mDw

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!